ফাগুনের গায়ে আগুনের লাভার ছাপ স্পষ্ট,
দিনের হাস্যপ্রোজ্জ্বল ফাগুন আজ অগ্নিলা বাতাস,
দিনের মায়াবী বসন্তও রক্তবর্ণ হয়েছিল মায়ের বুকে গুলিবিদ্ধে,
সকাল সন্ধ্যায় এই নিয়ে কানাঘুষারও শেষ ছিলো না,
তাতে কি আর মায়ের বুলি চুপসে যায়,
বর্ণমালারা থেমে যায়
যায়না,
রক্তাক্ত মা আমার তখনো যে বুক উজাড়ি হাসি হাসে ;
হিংসে ভরা অক্ষি নিয়ে আবারো মুখে হিংসাত্মক থাবা!
কুচক্রি শকুনিদের সেই থাবাতে ঠোঁট যে গেলো ফেটে,
তাতে কি আর হাসির পতন ঘটে?
ঘটে না,
বরং ডাক দেয় তার খোকাদের
ডাক দেয় তার সোনার ছেলেদের ;
তাতেই গর্জে ওঠে বাংলাদেশ,
গর্জে ওঠে বাংলার আকাশ বাতাস,
সেইদিনেই মার মুখের হাসি ফেরাতে
রফিক -বরকত -শফিক-জব্বার  নামে
কিছু আনাড়ি ছেলে রক্তাক্ত ঠোঁটে
ছোট্ট একটি চুমু এঁকে লিখেছিলো
একটি অমর কবিতা লিখে ;
বাংলা ভাষা ।
রক্তে রাঙ্গানো  হাসিমাখা রক্তাক্ত মা,
রক্তে আঁকা  ছেলের চুমু,
রক্তাক্ত চোখে পুত্র বিসর্জন,
রক্তাক্ত ৮ই ফাল্গুন,
রক্তে ছাপানো একটি কবিতা;
বাংলা ভাষা।