এটা আজ কাল বা পরশুর কথা নয়,
যেদিন হতে আমি দিন আর রাতের পার্থক্য বুঝি সেদিনের কথা।
বসন্ত প্রয়াণে চৈত্রের উষ্ণতায় চক্র ব্রতচারী এক বালিকার আগমন হতো,
কোন মহৎ প্রেমের উদ্দেশ্যে নয়,
শুষ্ক মস্তিষ্কে মৃত্যুর ছবি আঁকতে।
কখনোই কেউ মনে তাকে রাখতো না , কেউ না!
চৈত্রের অস্থিঘামা তাপদাহের মতই তাকে ভুলে যেতে চাইতাম,
কিন্তু সেই অবুঝ বালিকার একযুগ পরেও বুঝবোধ এলো না,
চক্রের ধারা বেয়ে এখনো চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে আমায়!
শুধু এতেই ক্ষ্যান্ত নয়,
সূর্য্যের নীলরশ্মির আঘাতে আঘাতে মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি আঁকছে।
ব্যথাতুর আমি দুহাত বাড়িয়ে,
দিনের পর দিন, রাতের পর রাত
রাস্তায় রাস্তায়, পথেপ্রান্তরে
দিন রাতের সঙ্গী খুঁজেছি,
এই নির্বোধ ছ্যাঁচরা কষ্টাঘাত থেকে রেহাই চেয়েছি।
কেউ আসেনি কেউ না!
কেউ আমায় সঙ্গ দেয়নি!!
কেউ বুঝেনি আমার ছটফটে চোখের ভাষা।
নিস্সঙ্গ আমি অনেক ভেবে দেখেছি,
নির্ঘুম রাতই আমার প্রকৃত বন্ধু।