জানি তোমার মন ভালো নেই আজ।
ধুলো মাখা মুখে কী বিবর্ণ, শীর্ণ-ই
না লাগছে তোমাকে......


সেই বাসন্তী পেড়ে শাড়ি, সাদা পাজামা
ইলিশ-পান্তা, রঙ্গিন মেলা সব ঠিক আছে
আছে আবেগের জড় অনুষ্ঠান...
সেই অনার্য –চাষা ভূষার দল, দীপ্র শ্রমিকের
হাত, তপ্ত লাঙ্গলের ফলা কোথায় তুমি হে
প্রিয় বাংলা? কর্পোরেট কার্পেটের নিচে বুনেছ
কি উন্নতির গর্ভপাত? কালে অকালে নিয়ত
আনন্দ খোঁজ অবৈধ সম্ভোগ?


জানোনা মাটিও রক্তের মত সব মনে রাখে?
রাখতে হয়, কেননা আজো কোকিল ডাকে
আজো দিগন্ত থেকে ছুটে আসা লাল আভারা
দেখায় পরাজিতের মর্মন্তুদ সেই ইতিহাস, আজো
কালবৈশাখী নামে দেখায় বাংলা মাত্রই জ্বালাময়ী
উদ্ভাস, আজো বাংলা দুরন্ত এই তথাকথিত হৃষ্ট-পুষ্ট
আধুনিক যুগেও সবুজ পাতার মাঝে কী পরাক্রমী তারুণ্য


এত কিছু দিয়েও কেন তুমি রইবে কষ্টে- নীল অবসন্ন?
এত কিছু ঝরিয়েও কেন তুমি বর্ষার ক্রন্দন ভালোবাসো?
এত কিছু ক্ষয়েও কেন তুমি অন্ধকারে অসীম বিষণ্ণ?  


মন ভালো করো হে দয়িতা বাংলা-
তোমার দ্বৈরথে যারা ছিলনা দিয়েছি অভিশাপ যেন
দ্রুত মরে যায়। তোমাকে করেছে রিক্ত যারা দিয়েছি
থুথু যেন ক্রোধান্ধ শাপ এখুনি দেবে দংশন
তোমাকে ভালোবাসেনি যারা টনকে টন দিয়েছি
উগড়িয়ে বমি যেন সমূলেই তারা যায় ডুবে।


মন ভালো করো হে প্রিয় বাংলা আমার
তোমাতেই জীবন গড়া– তোমাতেই সারংসার।