একদিন কাগজের নৌকা ভাসিয়েছিলাম জলে-
কলেজ পুকুর পাড়ে, চাপালিশ গাছের নিচে লাল পিঁপড়ের সাথে
করেছি কত খেলা...
জাহাজে মাস্তুল তুলে ভাসিয়েছি ডোবা জলে কচুরি পানার ভেলা।


নীল শাপলার হাতছানিতে কুটকুটে কালো জলে ভিজিয়েছি আমার শৈশব
লাল নীল শৈশব উড়ন্ত ঘুড়ির মত, পাখা মেলা দুরন্ত শৈশব আমায় নিয়ে চলে
উদয়নের ছোট্ট খেলার মাঠে কলেজের পুকুর ঘাটে, যেখানে সোনার নৌকা ভাসে মানুষের মুখে রূপ কথা হয়ে।
ভাইবোন ভিলার টিন শেডে হলুদ বাড়ি রক্ত চোষা মশকের গান মোরগ মার্কা কয়েলের ঘ্রান আমায় নিয়ে যায় সোনালী সেই প্রান্তরে।
যেখানে এক সুখী দম্পতির সাথে এক শিশুর বাস, বিদ্যুৎহীন সন্ধ্যায় বই নিয়ে বসে আছে, চোখ কেড়ে নেয় ঘুমের করাল গ্রাস।
ঝিঁঝিঁ ডাকে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে উঠোনের আকাশে বাতাবী ফুলের গন্ধ ছোটে জোনাকির সাথে।
আমরা ছুটি, ঘর ছেড়ে বাইরে জুটি। বরফপানি- লুকোচুরি খেলা চলে, যতক্ষণ চাঁদ চলে না যায় নারকেল গাছের আড়ালে। নারকেল পাতায় চাঁদের আলো লাগে, জেগে ওঠে ধাড়ি ইঁদুরের দল! পিপাসা মেটায় কচি ডাবের জলে।


পুকুর লাগোয়া বাদাম গাছে ঝুলে থাকে বাদুড় সারি সারি, টুপ টাপ ঝোরে পড়ে চিবানো বাদাম, জোয়ারে ভেসে যায় অজানার পথে ভাটায় আসে কিছু পারিজাত ফুল।
আমার লাল নীল শৈশব আবার যদি ভাটার ফুল হয়ে ফিরে আসে, আমি যদি হয়ে যাই সোনালী প্রান্তরের শিশু, তবে থাক পরে উন্মাদনা আমি শুদ্ধ হয়ে আবার ফিরে আসি যৌবনের জোয়ারে।