গতকাল যে মানুষটি মারা গেলো
তার মৃত্যুতে শোকে কাতর হলেন সবাই,
আহ,উহ নিঃশ্বাস বেদনায় আকাশ বাতাস ভারি হলো,
পত্রিকার হেডলাইন হল কত বিশেষণ।
নেতা নেত্রীরা ছুটে চললেন আজীবন প্রতিপক্ষের উঠোনে।
সমবেদনা আর মুখরোচক বাণী পত্রিকার পাতার অনেকাংশই দখল নিল।
এটা নাকি সৌজন্যতা,রাজনৈতিক শিষ্টাচার!


ধিক,শত ধিক হে সৌজন্যতা
শত মুখ ভেংচি তোমার প্রতি হে শিষ্টাচার।
কোন গহীণ অরণ্যে তোমরা পতিত হও?
জীবিতের প্রতি নির্দয় হয়ে লাশের বাড়িতে উদিত হও!
রাজনীতির নর্দমাক্তকারীকে তুমি বরেণ্য বানাও,
কোটি টাকা লুটকারীকে তুমি নির্ভেজাল সাধু বানাও,
ব্যাংক,বীমা আর সরকারি অর্থ তসরুফকারী শয়তানকে তুমি ফেরেসতা বানাও,
অসহায় জনগোষ্ঠীর মুখের আহার ভক্ষণকারীকে তুমি রক্ষক বানাও।


আমি পারবো না।
আমি পারবো না এমন নির্লজ্জ সৌজন্যতার লুকোচুরি খেলতে।
আমি পারবো না এমন অসত্য শিষ্টাচারের বালুচরে দৌড়াতে।
আমি পারবো না তাদের সাথে আপোস করতে;
যারা,আমার ভাইকে হত্যা করে নারকীয় উল্লাস করে,
যারা,আমার বাবার বুকে গুলি চালায়,
যারা,আমার মায়ের শাড়ির আঁচল টেনে ধরে,
যারা,আমার বোনকে নিয়ে মেতে উঠে পৈশাচিক উন্মত্ততায়,
আমি তাদেরকে খুনি,লম্পট,ধর্ষক বলবোই।


মৃত্যুর আগে কিংবা পরে,তাদের সাথে আমার কোনো আপস নেই।
যারা,আমার দেশের অর্থনীতিকে লুটেপুটে খায়,
যারা,আমার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিতাড়িত করতে চায়,
যারা,আমার দেশের সংস্কৃতিতে বেহায়াপনার সয়লাব ঘটায়,
যারা,আমার দেশের স্বাধীনতা,স্বার্বভৌমত্বকে অন্যের হাতে তুলে দিতে চায়,
তাদের সাথে আমার কোনো আপস নেই।
আমি তাদেরকে চোর,ডাকাত বলবোই।
আমি তাদেরকে নাস্তিক,মুরতাদ বলবোই।
আমি তাদেরকে দালাল,তাবেদার বলবোই।


আমি মানুষকে মানুষই বলবো,
আমি অমানুষকে অমানুষই বলবো,
আমি বন্য পশুকে পশুই বলবো।
লোকালয়ে চলে আসা বন্য পশুকে আমি মানুষ বলতে পারব না।
আমি তাদের সাথে কোনো আপস করতে পারবো না।