এগারোটার ট্রেন যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে
প্লাটফর্মে পৌছেছিল একটার পরে।
হুড়মুড়ি দিয়ে সব যাত্রীরা নেমে
যে যার মত পথ ধরে ট্রেন গেলে থেমে।


চারিদিক চোখ খুঁজে পাই নি ত যান
একলাই হেঁটে চলা দুরু দুরু প্রাণ।
কিনব্রিজ পার হয়ে ফুটপাত ধরে
ছুটে চলেছি একা রাত দেড়টার পরে।


শহরের বাতিগুলো নিভু নিভু ছিলো
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও সেদিন ঝরছিল।


কিছুদূর যেতেই,
একঝাঁক কুকুর এলো তেড়ে
ঘেউ ঘেউ চিৎকারে প্রাণ নিল কেড়ে।


দোয়া দরুদ পড়ে নিয়ে ধীর লয়ে চলি
বাঁচাও বাঁচাও আল্লাহ মনে মনে বলি।


অকস্মাৎ কোথা হতে এক অশীতিপর বুড়ো
দূর দূর করে তাড়ালেন কুকুর,যা হয়েছিল জড়ো।


কাছে পেয়ে বৃদ্ধকে কেটে গেলো ভয়
শুকনো গলায় বলিলাম তাঁরে, এমন কেন হয়?
আমায় দেখে কুকুরগুলো এসেছিল তেড়ে
আপনার আওয়াজে চলে গেল,লেজ নেড়ে নেড়ে।


মৃদু হেসে তিনি বলিলেন,আমায়
স্বজাতির ভাষা বুঝে সকলেই
কেবল বুঝে না মানুষ হায়।


শুনিয়া তাঁহার কথা,চমকে উঠিলো হৃদয়
মানুষ হইয়া কুকুরের জাত কেমন করিয়া হয়?


জিজ্ঞাসু চোখ দেখে,
বলিলেন তাঁর জীবনের কথা,গিয়েছে যা একেবেঁকে।


কতটি বছর কাটিয়া গিয়াছে তাহাদের সাথে রহি
তাহারাই আমায় আগলে রেখেছে দুঃখ যাতনা সহি।
তাহাদের সাথে কথা বলি আজ,তাহাদের সাথে খাই
বিপদ-আপদ-মুছিবতের দিনে তাহাদেরে কাছে পাই।
তাহারাই আমার দুঃখ বুঝে,করিছে তাহাদের জাতি
মানুষ হইয়া মানুষের দুঃখ বুঝে না কেবল জ্ঞাতি।