"ভাত দে হারামজাদা,নইলে মানচিত্র খাব"
এ কথা বলার সাহস তার ছিল না,
খাদ্যে সম্পূর্ণ স্বয়ং দেশে এ কথা বললে
সত্যি সত্যি তাকে মানচিত্র খাইয়ে দিত।
মানচিত্র হজম করার শক্তি-সামর্থ ছিল না
তাই,মানচিত্রের বদলে গলায় ফাঁস খেয়েছে।
তার সাহস ছিল না,কিন্তু দুঃসাহস ছিল
ফাঁস খেয়ে জানিয়ে দিয়েছে, আমরা স্বয়ং হতে পেরেছি কতটা?
যুবতী ফাঁস খেয়ে দুঃসাহস দেখিয়েছে।
জঠর জ্বালা নিবারণ করতে না পেরে মনের জ্বালা মিটিয়েছে,
দুমুঠো ভাতের পরিবর্তে খেয়ালী ইচ্ছায়
মাটির গর্ভে ঠিকানা করে নিয়েছে।
চিরতরে ভাতের ক্ষুধার ইতি টেনে আজ সে প্রশান্ত।
এখন আর কোনো বুভুক্ষ কুকুর খাবলে খাবে না তার দেহ,
দন্তহীন শকুন ছুতে পারবে না কেশরাশি।
বড় বড় পেটওয়ালা মুলভীরা,
ফাঁস খেয়েছে বলে তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেবেন।
জান্নাত জাহান্নামের সব টিকেট তাদের মুষ্টিগত!
অথচ,জিন্দা বেলায় তাদের খাদ্যের উচ্ছিষ্টও
অভুক্তের মুখে তুলে দেন নি।
"ফোরাতের তীরে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায়"
এমন জবাবদিহিতার ভয়ে
উমরের মত করে কোনো শাসকের বুক কেঁপে উঠে না,
বায়তুলমালের বরাদ্ধ ক্ষুধিতের মাঝে
বিলিয়ে দেয়ার মত উদার মন নেই,
সারা দুনিয়ার ভুখা নাঙ্গার মুখে হাসি-আহার ফিরিয়ে দিবে
নেই সেই সমর নায়ক-খালেদ সাইফুল্লাহ।
নেই সেই শাসক,নেই সেই সিপাহশালার,নেই সেই প্রজা।
আছে শুধু হেরেমে বারাঙ্গনার নৃত্যে,
তরল সুধাপানে বুদ হয়ে থাকা বিড়াল গদিয়ান।
আছে শুধু মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার মত আরণ্যক।
আর আছে কিছু উচ্ছৃংখল,উন্মত্ত ফতোয়াবাজ শুঁয়োপোকা।