আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাও !
আমি ত হাবিলের ধুলোয় মিশানো রক্তকণিকা
করাতের আঘাতে দ্বিখণ্ডিত যাকারিয়া (আঃ)র ফিনকি দেয়া রক্তবিন্দু
নীল সাগরে পতিত ফেরাউনের ভয়,মুসা(আঃ)র উত্তরসুরী।


আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাও !
আমি ত নমরুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত ইবরাহিমের,
সাহসী সন্তান
ছুরির নিচে শায়িত ঈসমাইলের আল্লাহর প্রমের নজরানা।
উত্তাল তরঙ্গ মালায় ভাসমান নুহ (আঃ)র কিস্তির যাত্রী,
কাল থেকে কালান্তরে,যুগ থেকে যুগান্তরে ভাসতে ভাসতে
যে কিস্তি নোঙ্গর ফেলেছে নয়া যামানার তীরে
আমি সেই কিস্তির ভয় শংকাহীন নাবিক।


আমি জিবরাইলের আনিত শাশ্বত বিধান আলকুরআনের ধারক-বাহক,
শে'বে আবু তালিবে বন্দি মুহাম্মদ(সঃ)র নির্যাতিত উম্মত।
বদর,ওহুদ,খন্দকে যে সৈনিকেরা
আবু জেহেলদের নাস্তানাবুদ করেছে,আমি তাদেরই একজন
আমি মুতার প্রান্তরে হস্ত কর্তিথ সেনাপতির উড্ডিন পতাকা
আমি সাইয়েদুস সুহাদা হামজার চ্ছিন্নভিন্ন কলিজা
বাসরঘর ছেড়ে পালানো শহীদ হানজালার ভাই।


আমি আবু বকরের দরদ দিল
আমি উমরের ক্রিপ্ত হস্ত
আমি উসমানের মুক্ত দান
আমি শেরে খোদা হজরত আলীর বিচক্ষণ জ্ঞান।


আমি শহীদ তিতুর বাঁশেরকেল্লা
তলোয়ার আমি শাহ জালালের
আমি খান জাহান আলীর দূর্ভেদ্য দুর্গ
জীবনের পরওয়া নাহি কোনো কালের।


আমি,খুব জেনেশুনেই পথ ধরেছি সিরাতুল মুস্তাকিমের
এই পথ বড় পিচ্ছিল,কন্টকাকীর্ণ
কত হাজার বছর ধরে এই পথ আমি মাড়িয়েছি
কত শত লক্ষ হাজার সাথীকে এই পথে আমি হারিয়েছি
আমার পা সিক্ত হয়েছে আমারই হারিয়ে যাওয়া সাথীদের লহুতে।


তোমরা আমাকে বশীকরণ করতে চাও
আমি সারা দুনিয়াকে বশীকরণ করতে আমরন লড়ছি।
আমি বিষাক্ত বাতাসের গতিবেগ পাল্টে দিতে অবিরত লড়ছি।
আমি মহা সমুদ্রে স্রোতের বিপরিতে অবিচল বৈঠা নাড়ছি।


আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাও !
অথচ, মৃত্যু আমাকে দেখে পালিয়েছে সেইদিন
যেইদিন মুখে বলে দিয়েছি, আল্লাহ এক
যেইদিন বুকে গেঁথে নিয়েছি, এই মূল মন্ত্র
যেইদিন আমার সকল কর্মের লক্ষ স্থির করেছি, আল্লাহর সন্তুষ্টি
সেইদিন, সেইদিন, সেইদিন।