তোমরা মানুষ নও,নয় ত আমি
মানুষ হলে আমি মুসলমান নই।
"বুনিয়ানুম মারসুস"এই অমোঘ বাণী
যারা হৃদয়ে ধারণ করতে পারেনা
তারা খাটি মুসলিম নয়।
হোক সে হারামাইনের তত্বাবধায়ক,
কাবা কিংবা মসজিদে নববীর ইমাম খতিব।


এটা আমার সংক্ষুব্ধ হৃদয়ের অভিব্যক্তি,
প্রজ্জলিত আবেগের স্ফুলিঙ্গ নয়।
খুব জেনে বুঝেই একথা হৃদয়ঙ্গম করেছি
"মুসলমানেরা ত ভাই ভাই"।


মুসলমানের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে
আবিসিনিয়ার খ্রীস্টান জনপদ
মুশরিকরা হতে পারে আনছার
শুধু পারেনা আজকের মুসলমানেরা!


ভৌগোলিক সীমারেখার নির্লজ্জ দেয়াল তুলে
জাত- অজাতের বিকৃত মানসিকতায়
ঘোষিত ভাই লহুর সাগরে ভাসলেও
দেয়াল তুলে না কেউ।
কেউ ছুটে আসেনা ঘোড়া হাকিয়ে মুসলিম সেনাপতি
খালিদের মত করে
উমরের মত করে কেউ সৈন্য পাঠায় না
শুধু মানুষের ভুলুন্ঠিত অধিকার সমুন্নত করতে।


আজ নেই সেই মুসলমান,যারা দব বাজিয়ে স্বাগত জানাবে
আজ নেই সেই মুসলিম সেনাপতি,
যার আগমনে সিন্ধু বিজয় হবে।
দুনিয়াজুড়া মুসলিম শাসক আছে,
নেই একজন আমিরুল মুমেনিন।
মসজিদে মসজিদে ইমাম আছে দেশে দেশে,পাড়ায় পাড়ায়
নেই মুসলমানের ইমাম।
কাতার সোজা করার কথা হরহামেশা শুনি
মেরুদন্ড সোজা করার কথা শুনিনা কস্মিনকালেও।


তারপরও,কিছু মানুষ আছে, কিছু মুসলমান আছে
তাই ত নদীগুলো লাল হয় লহুতে
বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে
শোনা যায় করুণ রোদন-আহাজারি।
আর কিছু মানুষের অন্তর কাঁদে
চোখ সিক্ত হয় নোনা পানিতে,হাত উঠে আরশের পানে।


শুধু শাসকেরা বোবা শয়তান সাজে
ভৌগোলিক সীমানার দেয়াল টেনে লিখে দেয়
অভ্যন্তরীণ ব্যাপার-নাক গলাতে নেই।