জমের কোলে হাত-পাগুলো
চোখটি মেলে দেখি,
যতিন বাবুর সামনে রাখা,
রসগোল্লা না-কি!


প্রতি হাটে সদায় কিনে
পকেট থাকে ফাঁকা,
তাইতো বাবুর হয় না জোগাড়
রসগোল্লার টাকা।


মাঝে মাঝে যতিন বাবু
আপন মনে ভাবে,
মাছির মত থাকলে পাখা
রসগোল্লা খাবে।


লাল গোলাপী সন্দেসগুলো
দোকানী সাজিয়ে রাখে,
একটা নিয়ে উড়াল দিলে
ধরে কে আর তাকে?


হঠাৎ করে রসগোল্লা
পুরে দিলে গালে,
কেমন হবে! ভেবেই যতিন
জিব ভরে যায় জলে।


এমনি যতিন মনে মনে
রসগোল্লা খায়,
ভর দুপুরে যতিন কত
দাড়িয়ে থাকে ঠাঁয়।


যতিন এখন কঠিন রোগে
মরলে লেটা চুকে,
কত স্বজন আসে-যায়
যতিন শুধু দেখে।


যতিন বাবুর মরণ কাছে
খবর বেড়ায় তার-ই,
কোন কুটুমে সঙ্গে আনছে
রসগোল্লার হাড়ি।


কেউ বলে তা মরবে যখন
একটু খাওয়াই ছানা,
কেউ বা রেগে ‘দুত্তরি ছাই’
অমন কম্য মানা।


কেউ বলে তাও  একটু যদি
মুখে দিতে চাস,
চামচ দিয়ে দু'-এক ফোটা
রসগোল্লার রস।


হায় রে কপাল! যতিন বাবু
মরার আগে ভাবে,
রসগোল্ল এলি তবে
এখন কি লাভ হবে।


গরম গরম রসগোল্লা
নাকের সামনে গোরে,
মুখে দিলে যতিন বাবুর
গাল বেঁয়ে যায় পরে।


খেতে অক্ষম যতিন বাবু
চোখ মেলে তাই দেখে,
আহ! স্বাদের রসগোল্লা
লাফায় নিজের বুকে।


চোখের ভাষায় বোঝায় যতিন
দুঃখে ভীষণ ক্ষেপে,
ইচ্ছে করে রসগোল্লা
নষ্ট করি টিপে।