সকাল থেকেই বুকের মধ্যে
ধর-পাঁকড় শুরু হয়েছে,
এরই মধ্যে বন্দুক যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন
হিসাবহীন নিরীহ তরতাজা বোবা প্রান।


তাঁদের পরিবারের মুখেও
কাপড় গুঁজে বেঁধে দেওয়া হয়েছে,
শব্দ বের হলেই জানে শেষ
বলে গেলেন এক মহাশয়।


চোখের জলই এখন সম্বল
তাতেও বাঁধা!
মেঝেতে গোঁড়ালি অবদি
জল জমেগেছে যে পলকেই!!


মহাশয়ের প্রিয়পালিত
কালো বিড়ালের পা গিয়েছে ভিঁজে!
স্বাধীন ভাবে সে হাঁটতে পারছেনা
বসতে পারছেনা,
খেলা করতে পারছেনা
ম্যাউ-ম্যাউ করতে পারছেনা।


মহাশয়ের বড্ড রাগ ধরলো
শেষমেষ কালো বিড়ালের মায়ায় পড়ে,
একরকম হুলস্তুল গতিতে সে
আমার ঘরে এসে ঢুকলো।


বললো, তুমি এবার কলম ছেড়ে
শুভশ্রীর ঘুম ভাঙ্গাও-যাও।


একমগ্ গরম দুধের চায়ে
দুটি এস্ট্রো ফেলে
দুজনে তা মুখে দিয়ে
চোখে চোখ রেখে
চোখের ভাষায় রুটিন মাফিক
কথাবার্তাগুলো সেরে নাও।


তারপর আবোল-তাবোল লেখা বাদ দিয়ে
প্রথম লাইন থেকে আবার লেখা শুরু করো।


আমি বললুম- আর শুভশ্রী ?
উত্তরে- সে আবার ঘুমোতে যাবে।


আমি বললুম- আর আপনি ?
উত্তরে- আমি আমার তিনটি কাঁটায়
ভর করে কাছের অতীতেই ফিরে যাবো,


কালো বিড়ালটা ফিরিয়ে দেব তান্ত্রিককে
দেখতে যাবো-পেঁয়ারা গাছে
হূল ফুঁটানো কালো পিঁপড়ে,


পিছু নেবো-কুঁমড়ো ফুলে উড়ে বেরানো
দুরন্ত কোন এক কিশোরী প্রজাপতির।
তারই সাথে রাত্রী হবো
মঙ্গলময় ফাঁনুস মিছিলের।