কখনো কখনো কিছু করতে না পারার অব্যক্ত অনুভূতিরা
বুকের ভেতর পাথরের মতন ভারি হয়ে বসে;
রাতের আঁধারে এক অস্বস্তি বোধের চোয়াল জেনো গিলে খায়
অপরাধী মনে হয় নিজেকে !
ফসফরাসের মতন জ্বলে ওঠে চোখের পাতায় হাজার ছবি...
নিজের বিবেকের শরীরে নিজেই
হাজার প্রশ্নের পেরেক পুতি..
পথের পাশে যে ধুলো মাখা শিশুটা চোখের জলে ধৈর্যের কাদা মাটি
পেরিয়ে অধৈর্য হয়ে ওঠে এক মুঠো ক্ষুধার তৃষ্ণায় ;
তার পাশে কী একটু দাঁড়ানো যেত না?
যে অন্ধ ভিখারিটা পথের বাঁকে বসে বাঁশির সুরে বলে
"বাবা দু'টো পয়সা দাও'' ......
তাকে কী যেত না দু একটা আধুলির স্পর্শতা দেওয়া?
শ্রমিকের প্রাপ্য মূল্যে ভাগ বসানো যে হিংস্র নগ্ন জীব গুলো
দুর্নীতির অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় ...
একটু কী যেত না তাদের কালো চামড়া ছিঁড়তে গর্জে উঠতে?
যে ধর্ষিতা নারী নৃশংসতার ক্ষত নিয়ে লম্পট পাষণ্ডের শাস্তির দাবীতে
রাতের পর রাত ঘুমহীনতায় থাকতে থাকতে ভেঙে পড়ে...
একবারও কী যেতো না তার হয়ে
দু'হাতে প্রতিবাদী লাল আগুন মাখতে?
নিজের রক্ত ঝরা ক্ষত বিক্ষত বিবেক থেকে উত্তর আসে ...
নিজের মতন পাশে দাঁড়ানো যায়
সাহায্য করা যায়
কান্না নিজের করে নেওয়া যায়
প্রতিবাদী আগুন হাতে চোখে জিভে মাখা যায় ...
আর তখন ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে
ব্যস্ত সময়ের হৃৎপিণ্ডের নিয়ম রীতিতে মধ্যবিত্ত রক্তের নিত্য দিনের
এ বয়ে চলা পথের শিরা উপশিরা।
******