বাস্তবতার দেশে ঘুমাই আমি, আর স্বপ্ন দেখি আকাশে ওড়ার।
স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রেখে ভাবি, হতো যদি এভাবেই জীবন পার!
ভাবনায় আরো যোগ করি, স্বপ্নের জন্যই আমি প্রকৃতিস্থ আজ।
এই স্বপ্ন ভাঙাবো না, যতোই আসুক সর্বনাশা বাজ।


স্বপ্ন দেখি প্রসন্নতার, আর এমন একটি জীবনের,
যেটি অতিবাহিত হবে সম্পূর্ণ, ছাড়া আর্তি বেদনা।
কষ্টের গভীরতা যতোই হোক, শুধু স্পর্শ করবে না।
আমার ভেতরের স্বপ্নিল জমকালো আঙিনা।


স্বপ্ন দেখি স্বস্তির আর শান্তিপূর্ণ অবস্থার,
যেখানেই যাবো, পাবো এটি রাতভোর।
থাকবে না কোন হানাহানি, ঘটবে না কোন গোলযোগ।
নীরব নিশ্চিন্তে ঘুরবো আমি, থাকবে না কোন বিয়োগের অভিযোগ।


স্বপ্ন দেখি ঐক্যের আর পবিত্র মানবতার,
যেখানে থাকবে না কোন অস্ত্রবাজি, অরাজকতা, লুণ্ঠন।
সব জায়গায় থাকবে শান্তি
মনের সুখে বেড়াতে, থাকবে না কোন বাঁধা আর বিভাজন।


স্বপ্নের ঘোরেই স্বপ্ন দেখি,
যেমনটি আমি চেয়েছিলাম তেমনটিই পেয়েছি।
কিন্তু না! আমার সব স্বপ্নকে ভুল প্রমাণিত করে,
একটি শব্দ বাস্তবতায় আমাকে আনলো  ফিরিয়ে।


“হ্যাঁ” শব্দ, বিস্ফোরণের শব্দ, যেটি আঘাত হানলো ফিলিস্তিনের বুকে,
নয়তো শুধু ফিলিস্তিন !  
বসনিয়া, সিরিয়া, ককেশাস, লেবানন, মায়ানমারের সকল মুসলিমের বুকে,  
প্রতিনিয়ত আঘাত হানছে  এই শব্দ।
তাদের স্বপ্ন দেখাই  তো অন্যায়, মুসলিম হওয়াই তাদের অপরাধ।
আর মানবতা! সেটি কি জিনিস, তাও মুসলিমের জন্য।
তবুও আমি স্বপ্ন দেখি একদিন আমি যেমনটি স্বপ্ন দেখছি তেমনটি পাবো।
হয়তো আজ নয়, কাল, কিন্তু মন বলছে পাবো।
তার জন্য শুধুই অপেক্ষা। হ্যাঁ, আসমানি সিদ্ধান্তের অপেক্ষা।
আর না পাওয়া অবধি আমি স্বপ্ন দেখেই যাবো ।