শত সহস্র হাজার বছর ধরে,
নগর গড়েছে নদ-নদীর তীরে,
গড়ে উঠেছে তিলে তিলে সভ্যতা।


মিশরের নীল নদের তীরে সিন্ধু সভ্যতা,
টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস এর তীরে মেসোপটেমীয় সভ্যতা,
আরও গড়েছে সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা।
সিন্ধু নদীর তীরে সিন্ধু সভ্যতা।


প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে,
পুন্ড্রনগর গড়েছে করোতোয়া নদীর তীরে।
প্রায় সোয়া চারশ বছর পূর্বে,
তিলোত্তমা ঢাকা গড়েছে বুড়িগঙ্গার তীরে।
টেমস এর তীরে লন্ডন,
পোটোম্যাক এর তীরে ওয়াশিংটন,
হংকংকে গড়েছে ক্যান্টন।
হোয়াংহোর তীরে বেইজিং,
সিডনী্কে গড়েছে মারে ডালিং।
কায়রো নীল নদের তীরে,
অটোয়াকে গড়েছে সেন্ট লরেন্সে,
প্যারিসকে গড়েছে সীন,
বনকে গড়েছে রাইন।
যমুনার তীরে দিল্লী,
কলকাতাকে গড়েছে হুগলী।


নদীমাতৃক এই বাংলাদেশে ছিল আটশত নদী,
পদ্মা,মেঘনা,যমুনা,সুরমা,কর্ণফুলী,শীতলক্ষ্যা,মাতামুহুরী
ব্রম্মপুত্র,তিস্তা,মহানন্দা,চিত্রা,রুপসা,বাঙ্গালি,ধলেশ্বরী
গড়াই,পূর্ণভবা,মাথাভাঙ্গা,কপোতক্ষ,ধরলা,সোমেশ্বরী
বুড়িগঙ্গা,করতোয়া,আত্রাই,কুলিয়ারা,ডাকাতিয়া,বংশী
ধনু, মনু, ধলা, ইরামতি, চন্দ্রাবতী, নাগর, তেঁতুলিয়া
নবগঙ্গা,সন্ধ্যা,সুগন্ধা,তিতাস,ভোলা,মানস,পাহাড়িয়া
গোমতী,ভৈরব,ইছামতি,ডাহুক,কুমার,দুধকুমার,কালনী
তুরাগ, বালু, কাটাখালী, নাফ, সারি, পিয়াইন, ফেনী
আরও আছে অনেক নদী,আমি তো আর নাম না জানি,
ধ্বংস হতে হতে আজি রয়েছে চারশত পাঁচ খানি।


শত সহস্র কলকারখানার বর্জ্য,
কৃষি কাজে রাসায়নিক দ্রব্য,
নদী খেকো দানবদের করাল গ্রাসে,
বন্ধুরুপী জানোয়াদের বাঁধে,
নদীগুলো হারিয়েছে নাব্যতা,
আমরা হারিয়েছি মনের কাব্যতা।