ওরে নাতিন, আমার সতিন
তোর ওড়না গেলো কই ?
ঘাটে গেলি লাল দোপাট্টা পড়ে
ব্যাপার কি ? ডাকতো তোর সই !
কিছুুনা ।সই কি কবে
হঠাৎ বাতাস এলে
ওড়না উড়ে পড়লো তখন
মাঝ পুকুর জলে ।
তার জন্য বলো কি তুমি
নামব আমি অথৈ তলে ।
ভ্যাগিস নয়ন ভাই এলো
বললো হেসে
গোছল সেরে, ওড়না এনে
দেবে বিকাল শেষে !
নানি মুচকি হাসে
তোর নানাও এমন করেছিলো
আমার যৌবন কালে
সেই হলো বর -অবশেষে ।
তুমি যে কি বলো
না শোনে যেন বড়দা
নয়ন ভাইকে বলে -তোমার জন্য
এনে দেব পান, সুপারি, জর্দ্দা !
হু, দোয়া করি নানু
আশা যেন তোর পুরন হয়
পরের ঘরে আমার সতিন
যেন সুখে সদা রয় ।
তোময় ছেড়ে যাবনা
শোন, বলি- পরের ঘরে
করবো কার সাথে দুষ্টুমি
বলো, বাঁচবো কেমন করে ?
তা বেশ বুঝেছি - কিন্তু
যখন কৃষ্ণ বাজাবে বাঁশি
তখন যেন বলিস্ না আবার
নানি, একটু ঘাট থেকে ঘুরে আসি ।
হা, হা, হি, হি !