স্বপ্না রানীর স্বপ্ন ছিলো
বড় হবে, আকাশ ছোঁবে
মানুষকে ভালোবেসে
স্বর্গ গড়বে ধরার বুকে ।
সংবাদ কর্মী হবে
নির্যাতিত মানুষের সংবাদ সংগ্রহ
নেশা হলো, ছুটে চলা শুরু হলো
প্রান্তর থেকে প্রান্তরে ।


নিয়তির নির্মমতা হঠাৎ করে
আহত করলো
একটি পা কেটে গেলো
দূর্ঘটনার শিকার হয়ে ট্রেন লাইনে ।


স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেলো
বন্ধী হলো ঘরের কোনে
সময়টা কাটে এখন
এক পায়ে নুপুর পরে !


শিক্ষা ছিলো
যোগ্যতা ছিলো
তবুও চাকরির খরা ভর-দুপুর
কারন, এক পায়ে নুপুর !


সবাই খোঁজে রূপের নগর
কেউ নেয়না মনের খবর
বিয়েটা তাই ভাঙ্গে বারবার
কারন, এক পাঁয়ে নুপুর তার !


বিষন্নতা ছাড়েনা পিছু
পারিবারের ভালোবাসা তাও কমছে ‍কিছু
খুবই লাগে অসহায়
নুপুর পরতে এক পায় !


এমন কতো স্বপ্না আছে
বাংলা মায়ের ঘরে ঘরে
মনে মনে তাই তো ভাবি
একটি দূৃঘটনা কতো দূর্ঘটনার জন্মদাত্রী ।