বাবা মাকে পুড়ে মারল ঘরে জ্বলে আগুন,
বড় ভাইকে পশুর মতো করল ওরা খুন।
সত্বী ভাবীর শ্লীলতা নিয়ে হায়েনা নগ্নলীলা,
হাত পা স্তন কেটে ওরা দিলো মরণ জ্বালা।


গাছের সাথে স্বামীকে বেঁধে চামরা নিল ছিঁলে,
আমায় ওরা করল ধর্ষণ দশ বারোজন মিলে।
ছোট ভাইটির হাত পা বেঁধে করল বেদম প্রহার,
আমায় নিয়ে রাত্রিভর করল গৃধর আহার।


চার বছরের ছোট্টশিশু কাঁদে মা মা বলে,
একটিবারও শিশুটারে দেয়নি আমার কোলে।
ভীষম জ্বালায় সজ্ঞাহানি হচ্ছি বারে বার,
ক্ষুধা তুমি কেমনে সহো এমন অত্যাচার ?


ভোরের আলো ফুটলে সবে নষ্টা বলবে মোরে,
কার বুকেতে মুখ লুকাবো রইলো না কেউ সারে।
সাজানো এক সংসার আমার রক্তে গেল ভরে,
আপনজনের এত লাশ কে নিবে কবরে?


সারা রাত্রি ভোগের শেষে গলায় ধরল ছুঁরা,
প্রস্তুত ছিলেম ছেড়ে যাবার যাতনার এ ধরা।
চার বছরের ছোট্ট খোকার ক্রন্দনরত মুখ,
একটিবার দাও না ছেড়ে জুড়াই অন্তিম বুক।


আমিও যদি যাই গো ছেড়ে কে দেখবে এ খোকা,
এতীম হয়ে কাঁদবে যাদু শুধুই একা একা।
আমায় যদি বাঁচতে না দাও তাকেও দিও মেরে,
খোকা ছাড়া কেমনে থাকব একা পরপারে ?


না হয় মোদের দাও গো ছেড়ে যাব বাংলাদেশে,
বার্মাতে যে কি হারালাম বলব না কভু রোষে ।
যার জন্যে পালিয়ে এলাম মৃত্যুপুরী ছেড়ে,
ক্ষুধার দানব সেই কলিজাও নিয়ে গেল কেঁড়ে।


বুকের মাঝে তুষের অনল নেভে না নাফের জলে,
ওহে মুসলমান এ অপমান কেমনে থাকবে ভুলে ?


(সংশোধিত )