সখিগণ, দেখে আয় গো তোরা,
ওই কুঞ্জবনে কার বাঁশি বাজে,  
মোর শ্যাম কি এলো গো ?
আর যে সয়না বিষম যাতনা,
লঙ্ঘিত এ যৌবন বাঁধ,
আর কত দিবস যামী,
আগলে রাখবো তারে,অঞ্চলে ভরে,
যা না সখিগণ, দেখে আয় না তারে ।


এ উম্মাদ বেলেল্লা বসন্তে,
মধুপূর্ণ কুঞ্জবন, সজ্জিত যার তরে,
দেখে আয় না সখিগণ,
সে কি মত্ত পর কুঞ্জে ওরে ?
যে মধুকরের তরে, প্রতিক্ষায় ভরে,
কুমারী বৈভব এ নবযৌবন,
তিতিক্ষার বহ্নিদাহে,যাচ্ছে পুড়ে পুড়ে,
সুলোচনের তপ্তধারায়,
স্যাঁতস্যাঁতে পদ্মকোমল কপল,
চিবুকে পু্ঞ্জীভূত, নোনাজলের শ্লেষ,
যা না সখিগণ, দেখে আয় না গো তারে,
এ হিয়া উচাটন উদাসিনী,
কে বাজায় ওই শ্যাম বেণুখানি ?


এ রাঁধার প্রাণ, নিবারণ নিকুঞ্জে,
শুধুই তার তরে,
পুঞ্জিত মৌ পু্ষ্ট   কুঞ্জবন ওরে,
ওলো সখিগণ, যা না দেখে আয় তারে ।


                    যবণিকা
রচনাকালঃ২১/১০/২০১৪  ইং