বাবার একটা গ্রামোফোন ছিল-
বলতাম কলের গান,
কত মধুর সুরে গান করিতেন
নেচে উঠিত মন প্রান।
কাঠের সুন্দরএকটি বাক্স ছিল
বেড়ার সাথে লাগানো,
তালাচাবি দিয়ে আটকিয়ে রাখি
তেন
সেই সুন্দর গ্রামোফোনো।
সকাল হইলে ভীর জমিতেন-
মানুষ গান শুনার লাগিয়া,
গান শুনিয়া দুপুরের সময়
আবার যাইতেন সবে ভাইগ্যা।
জ্যোৎস্না রাতে উঠানের মেজে-
কলের গানের আসর বসাতেন
শ্রোতাদের আমার মায়ে কত?
পান সুপারি খাওয়াতেন।
সত্তর দশকের কথা হবে রে ভাই
এই কলের গানের কাহিনী,
হঠাৎ করে মনের মাঝে কেন?
উঠে আসে সেই স্মৃতিখানি।
বাংঙালিদের জীবন হতে আজ-
বিদায় নিয়ে গেছে সেই সঙ্গীত,
আব্বাস উদ্দীনের সেই সুর
এখন প্রায় গ্রামে স্থিমিত।
পাক ভারত মহাদেশ হতে-
সেই বিখ্যাত শিল্পীদের গান,
বিরাহ নারীর মন জুড়ায় না
এখন শুধু ইতিহাসেই ম্লান।
সেই যে কত গানের কলি-
এখন মনে পড়িলে,
বিরহ বেদনার সুরভেসে উঠে
আমার মনের কোনে।
'আমায় এত রাতে ডাক দিলি'
এখন এই গানের সুর,
'আমার হারকালার লাইগা রে'
আছে শুধু ইতিহাসেই সুর।
গাঁ গ্রামের ভাটিয়ালী সুর-
এখন গায় না কলের গানে,
এখন শুধু ঐতিহ্যগুলো আছে
সেই পূরাণো ডিক্স প্লেয়ারে।