মেঘনা তুমি দু'পাড়ের প্রতি আর-নয়নে
চাহিলে-
ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বানের জলে দু'পাড়কে
ভাসিয়ে দিলে।
করাল গ্রাসে ভেঙ্গে গেল দু'পাড়ের ফসলের
জমি
তাও নি তুমি শান্ত হয়নি, ভেঙ্গে চল নিরবধি,
পাড়ের মানুষ আশা নিয়ে বেঁধেছিল বাসা
মেঘনাকে মিনতি করে-
রাতের বেলা ঘুম আসেনা, মেঘনার ভাঙ্গনের
ডড়ে।
বড় আশা করে বাঁধিলাম নীড় কার্তিক
মাসে শেষ-
শ্রাবন মাসের জলোচ্ছাসে নিয়ে গেল সব
ভেসে।
প্রবল জোয়ারে মেঘনার চড়ে গরু আনিবার
তরে-
ওসমানের মেয়ে রহিমা বিবি আর আসে নি
ফিরে।
ভাটার টানে জেলেরা যখন জাল তুলিতে
যায়-
তরঙ্গের ফাকে রহিমা বিবির কেশ দেখিতে
পায়।
ধরাধরি করিয়া লাশ উঠাইয়া নিয়া আসেন
কুলে-
কান্নায় কান্নায় এ শোকার্ত পাড়া মা-বাবার
চোঁখের জলে।
সকালে দেখি বাড়ীঘর সব বিকেলে দেখি না
নদীর কুল ভাঙ্গিয়া পাড়া বাসিরা বিলিন
হইয়া যায়।
ঘরবাড়ী হারাইয়া মেঘনা বাসি দেশ বিদেশে
ঘোরে-
যাযাবরের মত,জীবন বিধি সপে দিয়েছিল
ওদের।।