মর্তধাম তুমি আমাকে ভুলিও না-
   আমি যদি ভুলেও ভুলে যাই,
ক্ষমা করে দিও আমার এ অপরাধ
   আমি তোর মাঝেই হারাতে চাই।


অংশুমালীর করুণার  কথা কিভাবে-
    নিন্দুকের মত ভুলিতে পারি,
নয়ন দিয়ে অবলোকন করেছিলাম
    তোমার মহা করুণার বানী।


নই তুমি অবরিত বিলিয়ে দিয়েছো কত?
     উদকুণ্ড ভালবেসে মোদের লাগি,
যার বদৌলতে সৌভাগ্য হয়েছিল দেখার
     ললাটের ভাগ্যের রেখা টানি।


ঊডুপ তুমি রাতের আধাঁর বিদূরিত করে-
   মহামিলনের সংযোগ ঘটিয়ে চলো,
প্রেমিক প্রেমিকার মিলন মেলার তরে
    সুযোগের হাত বাড়িয়ে দিয়েছো অভিনব
                                           করে।
তপ্ত দহনে মাটঘাট সব খাঁ খাঁ করে থাকে-
    তার মাঝে অনিল বাবু ঠান্ডা প্রবাহে,
বিলিয়ে দেয় সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে
     সবুজ শ্যামল বট বৃক্ষের ছায়ে।


রুক্ষ মেজাজ শীতল দমে শান্ত  হয়ে পড়ে-
  ওগো প্রিয়া দেওনা না গো বাতায়ন খুলে,
গা এলিয়ে দুলিয়ে পবন চলাচলের পথে
    দেওনাগো আমায় বিশ্রমের সূযোগ করে।


যে ভাবে তুবি করুণা করেছো প্রকৃতিতে-
     যে সম্মানে ভুষিত করেছো আমায়,
তারই  প্রশংসাই মগজ জানু  অবিরত
     অন্তঃকরণ কাঁদে শুধু কাঁদে সর্বদা।


প্রভু দেহবসান হয় যেন ক্ষৌনিতার মাঝে-
   সুগন্ধি মজরিত হাস্নেহেনার সুবাসে,
আমাকে যেন স্মরণ করে  শ্রদ্ধা ভরে
     যুগ যুগান্তরের ঘুর্ণিপাকের মাঝে।