মেমরিতে ধরে রেখেছি-
শৈশবের কিছু স্মৃতি,
স্মৃতিগুলো আজও কেন?
ভুলিতে না পাড়ি।
নারিকেলের পাতা দিয়ে -
বাঁশি বানিয়ে কত?
পুত পুত খেলিতাম দলে মিলে
সেই স্মৃতি গুলো আজও
মনের আল্পনায় দোলে।
নারিকেলের পাতা দিয়ে ঘড়ি বানিয়ে-
দিতাম উভয় হাতে,
চশমা বানিয়ে মনের আনন্দে
দিতাম কত চোঁখে।
কলা গাছের ভেলা বানিয়ে-
গ্যারার বানাতাম বৈঠা,
আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে
চালাতাম কলাগাছের নৌকা।
বল বানাতাম তালপাতা দিয়ে-
খেলিতাম বন্ধুরা মিলে,
কচুরি পানা দিয়ে বল বানিয়ে
খেলিতাম বিলে বিলে।
নারিকেলের মালই দিয়ে -
কত মাইক বানিয়ে,
প্রচার করিতাম নির্বাচনের,
সেই দৃশ্যগুলো মনের মাঝে
দোলা দেয় স্মৃতিতে বারে বারে
মোর্চার খোলের নৌকা বানিয়ে
পুতুল বসাতাম কত,
সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়িলে
হৃদয় হয় ক্ষত বিক্ষত।
পুতুল দিয়ে বউ বানাইয়া-
বিয়ে দিতাম পুতুলের সাথে,
পেয়ারা পাতার পান বানাইয়া
খাওয়াইতাম মনো মনো করে।
কলার খোলের নৌকা দেখে -
স্মৃতিগুলি ভেসে উঠে মনের পর্দায়, মনের ভাব প্রকাশ করিলাম
আজ লিখে কবিতার ভাষায়।