হা হা কার যে নেইকো দেশ-
স্বাধীন হবার পড়ে,
পরাধীনতার গ্লানিতে একদিন,
দেশটা গিয়েছিল ভরে।
পূর্ববাংলায় কত সোনা ফলিত-
তার নেইকো লেখা যোখা,
পরিশ্রমের ফসল সব নিতে যেত
শুধু চোঁখে দিয়ে যেত ধোকা।
সব জমিদারেরা চুষে খেত-
সব চাষীদের রক্ত,
পুর্ববাংলায় ছিল কিছু চামচা
পশ্চিমাদের ভক্ত।
জমিদারেরা কুড়ে কুড়ে খেত-
গায়ের খাঁটি রক্ত চুষে,
জমিদারের গোমস্তারা নামে বেনামে
ঋণের দলিলের খাতা খুলে থাকে।
সারা বছরের পরিশ্রমের ফসলের-
সারাংশ চুষে খেত ওরা,
নারিকেলের ছোবড়া চিবাই মোরা
হোপড়া চিবায় ওরা।
মানুষ ভাতের চিন্তা করেনা এখন-
তরকারীর চিন্তা করে,
হা হা কারের সেই কঠিন সময়
আমা হতে চলে গেছে।
এমন সময় পাড় হয়েছে মোদের-
অভাবে স্বভাবে দেশ,
আলু ভাত খেয়ে রাত্রী কাটাইছি,
আটার ম্যার খেয়েছি বেশ।
ভাত দে মাগো,ভাত দে মাগো-
এখন যে কেহ বলে না,
কষ্ঠে আর দুঃখে না খেয়ে রাত
কেহর পাড় করা লাগে না।
স্বাধীনতার ফসল তুলে ঘরে এনেছি-
অভাব গেছে কোথায় চলে,
ভাত দে মাগো ক্ষুধার জ্বালায়,
পেট চেউ চেউ করে নারে।
মায়ের মুখে হাসি ছিলনা-
কাল সন্তানের মুখে দিবে কি?
এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসিতো না,
কাল উনানে জ্বালাব কি?
মানুষ মহা শান্তিতে দিনাতিপাত করে-
এখন ঘুমায় রাতে মহাসুখে,
স্বাধীন দেশে বাস করি মোরা
এখন কত যে মহা সুখে।