শৈশবের গন্ডি না পেরোতেই
প্রথম মিছিলে গেলেন দাদী
তখন আমার বোধহীন কৈশোর,
এরপর মামা- সুদূর প্রবাসে, নিঃসঙ্গ।


চেতন অবচেতনের মাঝামাঝি বয়স,
মায়ের রোদন বলে দিল
এ মিছিল ফেরে না-মিছিলসঙ্গীও।


চাচা-চাচী গেলেন যক্ষা নিয়ে,
তখনও আমাদের খেলা থামেনি
মিছিলে যাবার মর্ম বুঝিনি।
নানা গেলেন এক বিকেলে
আমি তখন হাঁটু পানিতে
নদীর গভীরতা মাপছিলাম।
বাবার হাত ধরে সে মিছিল দেখলাম।


নানী গেলেন আরো পরে
আমার তখন স্বেচ্ছা নির্বাসন-নগরে।
মিছিলে যাবার মর্মার্থ বুঝি।
এরপর চারপাশের কতজন গেল
কখনো রক্ত ঝরেছে,কখনো না,
ওরা আত্বীয় নয়-তবে অনেকে আত্বার ছিল।


হেমন্তের এক দুপুর ডাকছিল আমায়,
গাঁয়ের ভাঙা সেতু পার হতে মনে হচ্ছিল
মিছিলের আওয়াজ শুনছি।
রাত পোহাতেই বাবা গেলেন মিছিলে,
সুখের সাগরে ভাসার তোয়াক্কা না করে।


না ফেরার এ মিছিল বড্ড কাঁদালো,
জানি সবাই যাবো এ মিছিলে
তবু কেন এ বিরাগ !
মিছিল আসলে কেন কষ্ট!
কেন রাগ!