এই নদী শুনছ কি--
কলকল ছলছল কোথায় হয়েছে শুরু
কোথায় হয়েছে শেষ বলনা।
পাহাড়ে জন্মে তুমি
পাহাড়ের পাহাড়ের পথ বেয়ে নেমেছ,
উঁচুনিচু পাহাড়ে এঁকে বেঁকে
দূরে দূরে সমতলে ছুটেছ।
কখনও জলপ্রপাত
কখনও ঝরনা তুমি হয়েছ।
ঝরনার জল তুমি নদী নামে
দূরে বয়ে গিয়েছ।
দুই ধারে দুই পাড়
মাঝখানে তুমি স্রোতস্বিনী,
উপরে তোমার স্রোত ভেতরে তোমার স্রোত
প্রবাহিণী কল্লোলিনী।
নদী তুমি বুকে নিয়ে
বয়ে চল উভচর মাছ
তোমার পানিতে থাকে,
শ্যাওলা শামুক জলজ প্রাণী গাছ।
কখনও বা দুই পাড়
খাড়া রেখে ছুটে চলে যাও,
কখনও বা পাড় তুমি
এক পাশে ঢালু করে নাও।
কোথাও তোমার পাড়ে
সারিসারি ছোট বড় গাছ,
কোথাও বা ঝোপ ঝাড়
কোথাও বা থাকে শুধু ঘাস।
তোমারই পানিতে ভাসে
জলযান নৌকা জাহাজ,
তোমাকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে
দেখ পড়ে ইতিহাস।
ললনারা পানি ভরে
নদী থেকে কলসিতে নেয়,
এখানে সাঁতার কাটে এখানে গোসল করে
জলে ডুব দেয়।
মাঝে মাঝে কাশ ফুলে
নদী পাড় হয়ে থাকে সাদা,
চাষিদের শস্যের ক্ষেতগুলো
পাবে তুমি হেতা সর্বদা।
গোসল দিয়েছে গরু তোমার পানিতে নেমে
চাষি রাখালেরা,
তোমার কিনারে বসে বাউল গেয়েছে গান
নিয়ে একতারা।
তোমার দুইটি পাড়ে কতো যে কাহিনী রচে
তুমি কি জানো,
তোমাকে নিয়ে কতো গান কবিতা
তুমি কি শোন।
তোমায় ভালবাসি প্রিয়তম তটিনী তরঙ্গিণী নির্ঝরিণী,
তুমি হলে আমি আছি দেশ আছে তুমি জীবনদায়িনী।