চোখ ছলছল ভোলা আমায়
বলল ছুঁয়ে মাথা,
থাকবো আমি অপেক্ষাতে
সীমানা প্রাচীর যেথা।
সন্ধ্যে নামে পাখিরা সব
ফিরল গাছে ঝোপে,
একটি মাছও ঘাই দিল না
আমার ফেলা টোপে।
অলস হয়ে বসে আছি
দীঘির পানে চোখ,
হটাত দেখি কাঁপছে পানি
ধক করলো বুক।
ভীষণ রকম কাঁপছে পানি
তুলছে বড় ঢেউ,
একটুও তো নড়ছে না টোপ
পানির নিচে কেউ।
টোপ নড়ে না মাছ দেখিনা
পানি কেন নড়ছে,
উপর থেকে কেউ যেন
ঢেলা ছুঁড়ে মারছে।
শুনেছিলাম দীঘির ভেতর
থাকে দুটো ষাঁড়,
মস্ত দুটো শিং আছে আর
মস্ত মোটা ঘাড়।
ষাঁড় নয়তো ষাঁড় নয়তো
ভাবছি নিথর হয়ে,
হটাত কোরে ঝোড়ো বাতাস
উঠলো মাতাল হয়ে।
কি হচ্ছে ভাবছি বসে
এসব মানে কি,
একটু পরই শুনবো নাকি
শাঁকচুন্নির হিঁ।
ভাবছি যখন অমনি তখন
পড়ল পিঠে ঢিল,
ও বাবাগো ব্যথা এমন
পালোয়ানের কিল।
আমাকে ভয় দেখায় কে রে
সামনে এসে দাঁড়া ,
চারিদিকে তাকিয়ে কারো
পাচ্ছি না তো সাড়া।
লুকিয়ে থেকে ঢিল ছুঁড়ছ
সামনে এসো ভাই,
দেখে নেবো আজ এক হাত
রক্ষে তোমার নাই।
হটাত কোরে রাজন রাজন
ডাকছে ভোলা জোরে
এই সন্ধায় ছিপটা রেখে
যাব নাকি সরে।
গাছের সঙ্গে ছিপ দুটোকে
আচ্ছা কোরে বেঁধে,
বাক্সটাকে লুকিয়ে ঝোপে
গামছাটাকে কাঁধে।
বাগান বাড়ির কোনা ঘেঁসে
বাইরে এসে দেখি,
জড়িয়ে ধরে আমায় ভোলা
কেঁদে দিল, একি।
''চলে এসে ভালোই হোল
আর যেও না ভুলে,
দীঘির বিশাল মাছের কথা
ভেবনা কোন পলে।''
''আরে যা যা কি বলছিস
কাল সকালে গিয়ে,
বিশাল বিশাল রুই কাতলা
আসবো দেখিস নিয়ে।''
  --চলবে