কত যত্ন করেন - লালন পালনে,
বাবা মা আর আত্মীয় পরিজনে ।
ছোটবেলায় হলে সর্দ্দি কাশি,
সবাই চিন্তা করেন, ছুটে আসেন মাসি-পিসি ।
পরীক্ষার সময় - দেয় রাত জেগে পাহারা,
বাবার কাজে হয় বিঘ্ন, মায়ের কাজ হয়না সারা ।
চলে যায় স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে,
নানা স্বপ্নে বিভোর থাকে, মা নিজ আলয়ে ।


চাকরি পায় একদিন, তাঁরই সোনার চাঁদ –
মা তখনও জানেনা, কেউ পেতেছে মস্ত ফাঁদ ।
কিছুদিন পরে ঘর আলো করে, এলো এক সুন্দরী –
দুতিন বছর পরে, পরিচয় দেয় বীরাঙ্গনা মূর্তি ধরি ।
হাঁচিতে খোঁটা - কাশিতে খোঁটা এমনকি দেয় খাওয়াতে,
ঘুমের ঘোরে দেয় চোখ রাঙানী,
যদি বুক ধড়পড় করে মাঝরাতে ।
ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে গরীব বাবা মায়েরা,
দোষকি তাদের জানেনা তাঁরা, যেন কলুর বলদ তারা ।


হায়রে কলি কাল! একই  হলো হাল! মরে ভেবে ভেবে,
একটাই তো ছেলে,
ভেবেছিলাম ও নেতাজি-সচিন-আইনস্টাইন হবে ।
একে তাকে মনের কথা তারা যদি বলে, বউমা মুখ ভারী করে-
বলে – তোমার পাজি বাবামা, পাড়ায় মোদের চুকলি করে ।
আমার ঘরে আগুন জ্বালায় তোমার বুড়াবুড়ি,
বিদায় দাও সাবধান করছি এবার –
নইলে দেব সবাইকে হাতকড়ি ।


ছেলে হাতে ধরে বলে – ওগো লক্ষীসোনা,
তোমায় করতে হবেনা বৃথা শ্রম,
সহ্য করেছি অনেক, পারছি না আর, জানো?
ওদের ঠিকানা এবার পাঁচুর বৃদ্ধাশ্রম !!!!!