ভোট  হচ্ছে  বছর  বছর  – বাড়ছে  নতুন  উত্সব,
ভোট  এলেই  সকল  নেতা  – হয়ে  যায়  নিরপেক্ষ  সব ।
বলে; মতীন চাচা, জন আঙ্কেল, কালু মুন্ডা আর সুরেশ আমাদের ভাই,
মাইক বাজিয়ে ময়দান গরম  - এঁরা তখন নেতার আপন সহোদর ভাই।
বজ্র কঠিন ভরা শব্দ – মুখে কায়েমী স্বার্থ আর বুর্জোয়ায়,
গরীব শ্রমজীবির কথা বলে - আমাদের হাততালি কুড়ায়।


কিছুদিন আগে এইসব নেতা -  ছিল অন্য শিবিরে,
যেখানে জাতপাতই নেশাপেশা - উস্কানি দিত হিংসারে।
এখন এঁরা জনগনের নেতা - ইস্ত্রিকরা সাদা কাপড় পরে,
বড় বড় এসি গাড়ি চালিয়ে - অন্যের নামে দুর্নীতির কাদা ছোঁড়ে।
ভোটের সময় বাজার গরম - সবাই থাকে মেতে,
লোক সমাগম কাজটা কঠিন - গরিবের মাংসভোজন দুদিন ফ্রীতে ।


মুখে বলে;
তোমাদের রাস্তা দেবো, জল দেবো আর দেবো সস্তায় রেশন,
মাশুলমুক্ত বিদ্যুত দেবো - সব নেতার একই ক্যাসেট একই ভাষণ।
কাজ দেবো মজুরি বাড়াবো - মিটিং মিছিলে চলো,
ভাবে মনে: দেশটা যত গরীব থাকবে – আমাদেরইতো ভালো।


সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষ - আজকালকার কিছু নেতা,
তাদের ছেলে ফার্স্ট ক্লাস পায় - ফাঁকা রাখলেও পরীক্ষার খাতা।
ভোটের আগে বাড়ীঘুরে  - দুয়ারে দুয়ারে করে ভোটের ভিক্ষা,
কত থাকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি - পরে একটা হয় না ও রাখা।
ছিঁড়ে যায় কত চপ্পল - ছোটাছুটি করেও নেতার দেখা না মিলে,
ভালো রেজাল্ট করলেও চাকরি নেই -  মিলে শুধু ওদের ঘুষ দিলে।


ভোটের পরে - ওরা সবাই জামার মতো বদলায় কথা,
তাই সুযোগ এসেছে ভোটের সময় – ধরো নেতাদের হাত কান আর মাথা।
জিজ্ঞেস করো: ক’দিনে তোমাদের প্রাসাদবাড়ি - কেমন করে হলো?
গত ভোটে তোমাদের তো - শুধু একটি ঘরই ছিল !
আমরাতো দিন আনি দিন খাই - এভাবেই চলে,
লিখে দিও কি কি করবে - এবারের ভোটে জিতলে।


করতে যদি পারিনা এমন - তাহলে থাকি যেমন আছি বেশ,
জনগনের নেতা যে ওরা  - লুটুক আর সমাজটা করুক শেষ।
জলে ঝড়ে - শীতে কাঁপি - থাকি ভাঙ্গা ঘরে,
বরং ওরা চড়ুক গাড়ি - এই ভোট উত্সবের পরে।
আমরা যেমন গরিব আছি - চালের হাঁড়িটা থাক ফাঁকা,
নেতা হলো শ্রেষ্ঠ মানুষ – তাদের পেনশনটা হোক পাকা।