বারবার ভাঙ্গে কত অপরূপ ঢেউ,
আছড়ে পড়ে কিনারে, কত কিছু সাথে নিয়ে,
ঝিনুক আসে ঝিনুকের দেশ থেকে,
মুক্তা, প্রবাল, শৈবাল হয়ে বেড়ায়,  
বালুকাবেলায়! সমুদ্র রয়েছে এইতো,
খুব কাছে, দেখতে গিয়েছো কি সেথায়  .....


নানান ফুলের চাষ -
গোলাপ, ঘণ্টাকর্ণ, শেফালী, ব্রহ্মাকমল,
চাঁপা, হেনা, গাঁদা, পলাশ, অশোক, কৃষ্ণচূড়া,
মুকুন্দ, সূর্য্যমুখী, নাগচম্পা, জলকমল,
আছে জবা, রজনীগন্ধা, আর কেতকি,
প্রতিদিন ফোটে, সৌরভ তার চারিদিকে ছোটে,
খবর নিয়েছো কি তাদের - যারা লুটিয়ে আছে পড়ে ,
তোমার দেখার আশায় ....


বাড়ির পাশে দু:খী ছেলেটা,
পড়াশোনায় প্রথম হত, দৈনিক খেয়ে আধপেটা,
ইস্কুল বন্ধ করেছে সে, তার মায়ের কঠিন রোগ হয়েছে যে,
সংসার চলবে কি করে -  ভোলার চায়ের দোকানে তাই কাজ করে,
হয়ত সে পড়ে একদিন ডাক্তার হতো,
ভাগ্য ঘুরে হয়েছে সে - পাড়ার দাদা,
আজ মাস্তানি করে - তোমার থেকে হফতা আদায় করে।
তোমার গর্দ্ধব ছেলেটার পেছনে,
হাজার হাজার টাকা খরচ করছো, টূইশনে,
হবে না জানতে, কোনদিন সে ইঞ্জিনীয়ার, ডাক্তার,
তবু দেখভাল করেছো শুধু  তার।
অনন্ত কাল ধরে, যাদের দেখে খুশি হতে তুমি,
যারা ভালোবাসতো তোমায়, অবহেলা করেছো তার।
খেয়াল করনি অন্ধ হয়ে, তারা যে ছিল তোমার প্রতীক্ষায় ...........


* এই কবিতাটি প্রিয়কবি মাননীয় কবীর হুমায়ুন মহোদয়কে উত্সর্গ করছি।