একযে ছিল রাজা -
খেতো অনেক খাজা ।
রাজার ছিল এক চাকর -
করত বকর বকর ।
নামটা ছিল তার ভজা -
করত লোকে মজা ।
ভজার ভারী রাগ -
সবাইকে বলত ভাগ-তোরা-ভাগ ।
একদিন হল কী -
রাজার লোকেরা করলো চালাকি ।
ফন্দিকরে; ভজার নোকরী ছাড়াবে -
রাজার কাছ থেকে তাড়াবে ।
মিথ্যার জাল ফাঁদলো -
ভজা সেই জালে জড়ালো ।
মুখটা হলো কালো -
চুরির দোষে তাড়ালো ।
রাজা বড় গম্ভীর -
আনন্দে শত্রুরা খেলছে আবীর ।
রাজাকে মারার করলো চেষ্টা -
লুকিয়ে দেখল ভজাকেষ্টা ।
শত্রুরা রাজার খাবারে বিষ মেশালো -
ভজা লুকিয়ে সব ফেলে দিল ।
তারা ভাবে কে কতটা পাবে -
রাজা মরলে সব তাদেরই হবে ।
ঝগড়া শুরু করলো তারা –
নিয়ে তাদের ভাগ-বখরা ।
ধন-রত্ন কে নেবে -
সিংহাসনটা কার ভাগে যাবে ।
রাজার ভারী অসুখ -
চিন্তায় গেছে সব সুখ ।
ভজা গেছে অনেকদিন -
সঙ্গে গেছে সুখের দিন ।
ভাবে, ভজাকে শুনালে কথা –
মনে কখনো পেতো না ব্যথা ।
ভজার মুখে থাকত হাসি -
কথা বলত, চেপে কাশি ।
সেই ভজা এখন কই -
তারই চিন্তায় ঘুম নাই ।
শত্রুরা যে করছে প্লান -
রাজার যাবে এবার প্রাণ ।
রাজা খেয়ে শুয়ে পড়তেই -
শত্রুরা ভাগ নিয়ে করলো হইচই ।
শুনতে পেল রাজা -
তারই ভুলে চলে গেছে ভজা ।
রাজা পড়ল চিন্তায় -
কাল কি থাকব সন্ধ্যায় !
এমনি সময় শুনলো রাজা -
চিত্কার করছে সেই ভজা ।
দ্যাখে বেরিয়ে প্রাসাদ থেকে -
ভজা মেরে দিয়েছে সবাইকে ।
রাজাকে সব প্রমান দেখালো -
রাঁধুনি ছাড়া সবাই খারাপ ছিল ।
রাজার আর চিন্তা নাই -
ভজা থাকবে সব সময়ই ।
সব শত্রু শেষ করে -
ভজা থাকলো রাজার ঘরে ।
** এই রম্য ছড়াটি প্রিয়কবি শ্রী অভিজিত মিত্র মহোদয়কে উত্সর্গ করছি।