প্রিয়তম
বিশ্বাস কর,
তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষায়
আমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছি
আমার মন মরে ফসিল হয়ে যাচ্ছে পুরোটা।  
  
ভেতরটা একদম পক্ষাঘাতগ্রস্থ
মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধার ন্যায়,
এ দেহে কোন বল নাই আর
দুঃখ দুর্দশা দৈন হতাশা
ক্লান্তি বয়ে বেড়ানোর
আর এক বিন্দুটিও শক্তি নেই।


প্রিয়তম
বিশ্বাস কর,  
আমার অন্তরের এক তৃতীয়াংশ
খর্বাকৃতির পাথর হয়ে গেছে।
কত শত দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে ছিলাম
তোমায় ভুলে থাকার জন্য
সেই দীর্ঘ ঘুম ও ভেঙ্গে গেলো!!
কিন্তু
অপেক্ষার অনন্ত প্রহর
আর শেষ হলনা!
কিছুতেই না।  
ভাঙ্গা কপাল আমার।।


তুমি বিশ্বাস কর,  
তোমায় দেখতে চাই বলে বলে
তোমাকে আর জ্বালাতে চাইনা;
এখন আমি চব্বিশ ঘণ্টা, তিনশো পঁয়ষট্টি দিনই
আমার মত ঘুমাতে চাই।


নিঃসঙ্গ একাকী পাথর জীবন আমার
আমি ঘুমাতে চাই পাখপাখালীর কলতানে;
হারিয়ে যাওয়া শব্দের সাথে মিশে মিশে।


আমি ঘুমাতে চাই বরফ শীতল মেঘের উপর,
বাতাসে ভেসে ভেসে একদম অদৃশ্য হয়ে।


আমি ঘুমাতে চাই
তোমার স্পর্শহীন বদনাম আর ধংসের কথা স্মরণে স্মরণে,  
মানুষ ভীষণ অন্যায় করেছিলো জানো তো!  
প্রিয়তম
বিশ্বাস কর,
তুমিহীন এই জীবন অনেক অনেক ভারী।
টেনে হেঁচড়ে হাঁটতে চলতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আমার।
কিছু কর কিছু একটা কর।
তুমিহীন এই পৃথিবী বুড়ো হয়ে গেছে,
গাছে গাছে মরা পাতা।
আকাশ ধুসর রঙে ঝরে পড়ছে সবখানে।
সূর্যের দিকে তাকালেই
চোখ জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় ।
বার বার ভুকম্পনে নড়ে উঠছে সব
যে কোন সময় মৃত পাতালপুরিতে গিয়ে ঠেকবো আমি।
দেখে নিও, তুমি দেখে নিও।।