দূরদর্শনে সম্প্রচারিত স্বরচিত কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানঃ কবি যাদব চৌধুরী।  
     কবি যাদব চৌধুরী আমাদের বাংলা কবিতা ডট কম পত্রিকার এক উজ্জল নাম। কবি হিসাবে এবং আলোচক হিসাবেও। পত্রিকায় এ যাবত তাঁর একশত ঊনসত্তরটি ছড়া ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যগুনে  যা আলোকিত হয়ে আছে স্বনামধন্য অনেক সহকবির উজ্জ্বল মন্তব্য সহযোগে। আমাদের  পত্রিকায় তিনি বিজ্ঞ  আলোচক হিসাবে অনন্য। এই পত্রিকার প্রায় সমস্ত কবির কবিতা স্পর্শ পেয়েছে তাঁর লেখনীর। অনেক যত্নে আর আদরে, ভালোবাসা আর মমতায় প্রত্যেক কবির কবিতাকে উন্নীত করেছেন এক সীমাহীন উচ্চতায়।অনেক দুরূহ কবিতার পাঠোদ্ধার করেছেন অনায়াসে।নানা উপমা আর অর্থালঙ্কারে  কবিতাটি নবরূপে ধরা পড়ে পাঠকের চোখে। তাঁর এই নিরলস চেষ্টায় আকর্ষণীয় হয়েছে আলোচনার পাতাটি। প্রতিদিন সকালে আমরা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করি তাঁর আলোচনার বিষয়টি নিয়ে।    
   আজ কবিতার পাতায় আমরা পেলাম তাঁর জীবনের আর একটি অন্যদিক। উন্মোচিত হল তাঁর কৃতিত্বের  এক অজানা অধ্যায়। বিগত ০৭-০৪-১৭ তারিখে দূরদর্শনে সম্প্রচারিত হয় তাঁর স্বরচিত কবিতাপাঠ অনুষ্ঠান। তেরটি কবিতা পাঠ করেন তিনি। আলোচনা করেন কবিতা নিয়ে। নিজের জীবনের অনেক অজানা তথ্য জানতে পারি আমরা। তিপ্পান্ন মিনিটের বেশি সময় ধরে সম্প্রচারিত হয় কবির কবিতা পাঠ।আজকের যুগে সময়টা অনেক। বিশেষ করে কবি ও কবিতার জন্য। “ কবিতার জন্য সময় পান কি করে – এই ব্যস্ত সময়ে”- ঘোষিকার কথার উত্তরে যে উত্তর দেন কবি, তা যেন আমাদের সবার মুখপত্র হয়ে আমাদের সবার মনের কথা-তাঁর মুখে ধ্বনিত হয়। তিনি বলেন, “কবিতা লেখার জন্য সময় খুঁজতে লাগে না। সময় ধরা দেয়।”
    এটি যেমন কবির জন্য এক বিরল কৃতিত্ব। তেমন সহকবি হিসাবে আমরাও গর্ব অনুভব করি আমাদের প্রিয় মানুষটির জন্য।
     অভিনন্দন জানাই তাঁকে আমাদের সবার তরফ থেকে।তাঁর জীবন আরও আলোকময় হোক এই প্রার্থনা করে আজকের মতো আলোচনায় ইতি টানলাম।
   ধন্যবাদ।