শেষমেশ যুবতী মেয়েটা কি না, আত্মহত্যা করলো!
না, কোন প্রেমিক তাকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে
শারীরিক সম্পর্কের ইতি টেনে; জীবন থেকে চলে যায় নি!
আসলে যুবতীর গল্প মানেই একটা মুখরোচক...
সে বেঁচে থাকুক আর নাই থাকুক!  
ক্ষমা চাইছি পাঠকের কাছে-  
কোন রসালো গল্পের সন্ধান দিতে পারলাম না বলে!
আমি জানি না, বা জানতেও চাই না  
তার বাবা অথবা মায়ের জীবনে
কোন তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছিল? কি, না?    
তবে, এটুকু জানি সেই চাপা স্বভাবের মেয়েটা
তার ষোলোটা বছর ধরে একনাগাড়ে; হাঁপিয়ে উঠেছিল  
বাবা আর মায়ের একে অপরের দোষারোপের পাহাড়ে।  
শরতের ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মতো ভেসে বেড়ায় একটা ছবি...      
কোন এক নদীর পাড় ধরে
মা আর বাবা পাশাপাশি; মাঝখানে সে    
তার বাড়ানো দুটো হাত... একধারে মা, অন্যধারে বাবা    
হাত ধরাধরি করে তিনজনে
দৌড়... দৌড়... আর, দৌড়...  
নোনা হাওয়ায় তার চুলগুলো এলোমেলো...  
কিন্তু, হায়!
ছবিটা যে আঁকা হলো না!  
হয়তো তাই
একটা শেষ চেষ্টা; শেষবারের মতো!