স্মৃতিহীন হতে পারিনি বলে থেকে গেছে
আমার মধ্যে মোহ আবরণ।
আকাশী রঙের শাড়ী পরে হেঁটে যায় যে মেয়ে
তাকে আমি চিনি। রামধনু ভেঙে গড়া ছিল তার রূপ।
যে দুই বেনী কিশোরী থেকে যৌবনবতী তরুনী হয়েছিলো।
কুশায়া ঘেরা ঘন জনপদে হাঁটতে হাঁটতে মৃত স্মৃতি জাগে।
মনের রঙিন বাগিচায় ভাবনা গাভিন—
পরাবাস্তবতার ফুল কি এভাবেই ফোটে?
কমলেকামিনী মেয়ে একদা ভোর হয়ে এসেছিলো জীবনে।
আমিও কুলুস্বরে তার নাভির ভেতর নীলনদের ঢেউ হয়ে
আছড়ে পড়ি তার অবিনশ্বর বালুকাবেলায়।
আমি দিকভ্রান্তের মত তার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে
গোঙানির মত বলি সায়নী সায়নী...
পৌঢ়, শিথিল কামনাঘন কিছু অসংলগ্ন কথা
জীবনের মোহ আবরনে স্মৃতির করিডোরে জাগায় অনন্ত পিপাসা।