তোমাকে নিয়ে যে সব কবিতা লিখেছিলাম
সেই সব কবিতার গা থেকে ছন্দ খুলে নিয়ে
ফুরফুরে হাওয়ায় উড়িয়ে দিই।সমাচ্ছন্ন হোক আরও গভীর অন্ধকারে।
তুমিই তো আমায় বানিয়েছো অন্ধকারাচ্ছন্ন এক ঈশ্বর।
দুচোখে বিষাদ রাত্রির অভিমান নিয়ে সেই যে চলে গেলে, ফিরে এলে না।
আলতা পায়ের পদচিহ্ন মুছে, রেখে গেলে একফালি অন্ধকার...
আমি লিখতে লিখতে জানালা দিয়ে বাইরে তাকাই
ভাবি বেশ করেছো...
সেদিন আলোড়িত হয়েছিল আকাশ মাটি,
চাঁদ ভেঙে পড়েছিল আমাদের দুজনের মাঝে।
সায়নী- বৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ায় থাকে প্রলয়ের আশঙ্কা,
প্রকৃতির সবকিছু নীরব হয়ে যায় ধীরে ধীরে।
নীরবতাও দেখ কেমন যোগাযোগের সুন্দর মাধ্যম।
সেই শুন্যতার কাছে আমি নিবিড় হই। গোধূলির ছোঁয়া লাগে অজয়ের তীরে।
বিষণ্ণ নির্জনে বুকের ওপর হোমকুণ্ডে জ্বেলে দিই আগুন।
একদিন নিজেকে ভেঙে টুকরো টুকরো করি।
জীবন বলে না কিছু শুধু ঝুকে পড়ে জলে,
জীবন আমার কাছে হেরে যাওয়া জিতে যাওয়া নয়
কেবল অন্ধকারে মিশে যাওয়া গাঢ় তীব্রতা...