সমস্ত শোক নির্বাপণ অস্থির হাতে ঘেঁটে দেখো
থেকে গেছে বিষ দাগ জীবনের শেষে।
এক আরণ্য আখর-রোপন রাত্রি জুড়ে,
রোজকার পথেঘাটে বয়ে বেড়াও বিষাদগামী কল্পনা।
নিজে অবিশ্বাসী বলে ভাবতে ভালো লাগে অবিশ্বাসী জীবন।
ক্লান্ত হাতে উত্তাপ মাপো —
মনের চেয়ে মান বড় তোমার কাছে, তাই এখনও মেটে নি অভিলাষ।
তবুও দ্বিধাহীন, লজ্জাহীন, ভালোবাসাবোধ তোমাকে ঘিরে থাকে অহরহ।
এক সময় ফিকে হয়ে আসে বৈশাখী দুপুরে অভিমানী ফাগুনের রঙ।
ব্যথিত যা সুখ পোড়া দেহে কি জোগাবে সান্ত্বনা?
কার রাগে জীবন বিপন্ন করে তুলে নাও মৌনব্রত।
কার পায়ের ধুলো মেখেছো, কার কাছে চেয়েছো মাধুকরী?
কেউ তো বলে না অপর্ণা কেমন আছো।
কেউ তো নেয় না ভাগ তোমার অভিশপ্ত নরকবাসের।
অহং উল্লাসে সুখ নেই, ধ্বংস করো তাকে।
নিজেকে করুনা করতে শেখো, যদি করুনা আসে মনে
দেখবে ভালোবাসা দাঁড়িয়ে আছে তোমার দুয়ারে...