যার মনে জ্বলে আগ্নেয়গিরির অনল শিখা
ইচ্ছে যার কৃষ্ণচূড়ার প্রখর আগুনে জ্বলুক
স্নিগ্ধ শহরতলি—
স্বপ্ন সুখ সব কিছু ভেঙ্গে গেছে যার
নিষ্ঠুর বিলাসে।ছায়া হয়ে মিশে যায়
অন্ধকার জীবনে।
নিঃসৃত বেদনার স্রোত থেমে যায় পৃথিবীর
ছায়াপথে। তোমার এলোমেলো জীবনে—
নীরবে হেসেছিল মহাবন।
জীবন বলতে কি বুঝেছিলে?
বেঁচে থাকা বলতে কি বুঝেছিলে?
জীবন কি এ রকমই হয়  তোমার দৃষ্টিভ্রমে
ক্ষতি নেই যদি যেতে হয় অরণ্যবাস।
সঙ্গীহীন দুঃখ তোমার।
কেউ কি তোমায় খুঁজবে? তোমার ছেলেবেলা।
কেউ কি তোমায় ভালবাসবে? দিয়েছিলে সেই অধিকার।
ঝরে যাওয়া পাতার মত ঝরে যায়
শৈশবের প্রসন্নতা।
মহাবনের দীর্ঘশ্বাসে মুছে যায় জীবনে স্বপ্ন সাধ
বিকালের আলো ফুরিয়ে এলে
দীর্ঘায়িত হয় তোমার আবছায়া
তুমি খুঁজে নাও দুঃখহীন স্বেচ্ছাপরবাস
তোমার দু’চোখে জড়িয়ে আসে
নিঃসঙ্গ সঙ্গীহীন ক্লান্তির অবসাদ।
মহাবন খুঁজে নিক ম্রিয়মান পড়ে থাকা
সব ব্যাকুলতা। ঝরে যাওয়া শালমঞ্জরীর মত
রাত্রির গাঢ় প্রবাহে।।