দুর্বিনীত ধ্রুপদী ঝংকারে বেরিয়ে আসে
উত্থান-পতনের এক অনুপম কাহিনী—
মূলচ্যুত মানুষের ভুল ভালোবাসায়
থাকে অনেক অবর্ণনীয় অভিমান।
আমি সে রকম এক মানুষের প্রতিকৃতি
দেখেছি আমাদের পাড়ায়।
বৈধব্যের চেয়ে ভালোবাসার অপমানে
তার ছিল দুঃসহ জ্বালা।
শৈশবে সে কখন হাঁসে নি।
যৌবনে ছিল না তার উচ্ছলতা-
তার বিবাহিত জীবনে ছিল
কিছুটা আড়াল বা কিছুটা ব্যবধান।
সহগামী কে শত্রু বলেই ভাবত।
তার ঈর্ষার আকাশে ছিল অহংকারের আগুন।
পুড়ে যাওয়ার ভয়ে সে পুরুষকে
নরক বলেই ভাবত।
তার ভিতর বৃক্ষের মত সহনশীলতা ছিল না।
নদীর মৌনতা নিয়ে মুগ্ধ নারী
কল্যানের দিকে প্রবাহিত হতে পারে নি।
ধীরে ধীরে সে এগিয়ে যায় অকালবার্ধক্যের দিকে
চুল গুলো যা সাদা করে দেয়।
মুখাবয়বে ফুটে ওঠে ধূসর মলিনতা।
তার জন্য আমার কোন ভাবনা নাই।
দুঃখ আছে তার মেয়ের জন্য।


অহোরাত্র তাকে শুনিয়েছিল তার জীবনের
ব্যার্থতার ইতিহাস।
জীবন যাপনে কতটা মানবিক হলে
মেয়ের মনের বিস্তার আর বিন্যাসের
কারুকাজ পাবে।
শৈশবে সে ফুল কুড়ায় নি
যৌবনে তার জানালা দিয়ে বয়ে যায়নি
কোন বাতাস।
প্রতিবেশীর পুত্রকে সে লম্পট বলেই ভেবেছে।
নিজের অফিস কলিগে নেই কোন সখ্যতা।
ধীরে ধীরে সেই দিকে সে এগিয়ে গেছে
যেখানে দুপুরগুলো তার বিকালের মত বিষণ্ণ
আর বিকালগুলো রাত্রির মত গাঢ় অন্ধকার।
কতখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে
বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত
তার মেয়ের জীবন।
তার জন্য আমার কোন ভাবনা নাই।
দুঃখ আছে তার মেয়ের জন্য।