কতটুকু দিয়ে যেতে পারবে হেমন্তের মাঠে
শিশিরে ভেজা হলুদ ফসল।
তার কতটুকু বা পেতে পারি আমি এই জন্মান্তরে।
উৎসর্গে সব কিছুর উপশম আছে জেনে
দিনাবসানের শেষে আমি অপেক্ষায় থাকি।
পুরনো কাঠের সাঁকোর উপর একাকী দাঁড়িয়ে।
শ্রাবনের বৃষ্টির ভিতর বকের মত অপরূপ ভিজতে থাকি
বুঝি নি আমি এই বার্ধক্যে প্রেমে পড়লে
বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা হঠাৎই জল পিপাসার মত তীব্র হয়ে ওঠে।
সমুদ্রের গাঢ়তায় জলমগ্ন হয়ে –
মনে হয় আরও ভিজি একা একা তোমার প্রণয়ে ।
তোমার নিবিড় স্নেহ ছায়া ভালোবাসা সুমন্ত বাতাসের,
তার কতটুকু রেখে যাবে আমার জন্য।
তার কতটুকু বা পেতে পারি আমি এই জন্মান্তরে।
জোছনার আলো মেখে উড়ে যায় যে সন্ধ্যাপাখি
কখনও কি ডাকবে আমায়?
যে নারীর কালো মায়াবী চোখে স্বপ্ন বুনেছি ফাল্গুনী পূর্ণিমায়।
হেমন্তের গোধূলিবেলায় ঝরা পাতায় লিখলাম তোমার নাম
তার কতটুকু তুমি দিতে পারবে,
আর কতটুকুই বা আমি পেতে পারি এই জন্মান্তরে?