নিঃশব্দের বুক চিরে মৃত শতাব্দীর সেই সন্ধ্যাকাল থেকে –
রাতচরা এক পাখীর মত পাক খেয়েছি
তোমার বাড়ির কার্নিশে।
তুমিই দিয়েছ প্রতিটি ছায়ার গানে সীমাবদ্ধ তরঙ্গ।
মনের ভিতর বুনেছ এক জীবন উৎসব।
অধোগামী হলুদ আলোয় ভরেছো চারিদিক
তপ্ত বাতাসে বয়ে আনে বনফুলের সৌরভ।
আমার ক্ষুধা ও তৃষ্ণা তোমাকে ঘিরে। তোমার খোঁজে নেমেছি পথে
আমার পথ এসে শেষ হয়েছে তোমার বাড়ির পাশে।
তোমার একতারার মাধুকরী গানে মুষ্টি ভিক্ষা করি তোমারই করুনা।
নইলে আমি খঞ্জের ছায়া হয়ে আজীবন বসে থাকতাম
এক চিলতে ঘরে। শুধু স্মরণ করি পথের কোলাহল, তোমার পায়ের ধ্বনি।
আজ আর কোথাও যাবো না। এই ভাঙা রোদে বসে জেনে নেব
তোমার সেদিনের ভালোবাসা সত্যিই কি সৎ ছিল...