এক বুক জলন্ত আগুন নিয়ে আমাদের এই প্রাচীন
শহরের জনপদে যে মিশে গেল – সে আমার প্রনয়ী...
সে জানে না রাত আর দিনের ফারাক।
সব সময় তার মনে জ্বলে আগুন।
এক জলন্ত ভিসুভিয়াস যেন।
তার ঠোঁটের উপর ঘুমিয়ে থাকা তিল
তার নাভির নীচে বল্গাহীন অরন্য যখন জেগে ওঠে,
তার প্রবাহিত লাভার তাপে ভুল হয়ে যায় আমার
যৌবনের সমস্ত হিসেব নিকেষ।
মেয়েটি জানে তার খড় বিচালির দিন,
ঋতুরঙের দিন শেষ হলে তার হৃদয়ে পড়ে থাকে এক মুঠো গচ্ছিত অন্ধকার।
শুধু হরিনীর মত গলা তুলে বলে আমি ফিমেল নদী বুঝি না।
সময়টুকু ফুরিয়ে যাওয়ার আগে আমার সবটুকু নাও। কিচ্ছুটি রেখো না।
মেয়েটি জানে না তার জ্বালামুখ কোথায়। নিজেও পুড়ে আমাকেও পোড়ায়।
জানি আমি সে আমার অপেক্ষারতা প্রেমিকা,
সে খোঁজে উত্তাল কোন লোমশ বুকে নিখুঁত লাবণ্য।
প্রতিদিন তার একটু একটু নতুন দগ্ধতা পেতে আমি তৈরি হই।
দেখি হেমন্তের মাঠে আলপথে কি তুমুল রোদ্দুর
আর সে কেমন তকতকে করে তুলছে আমার যৌবন...