হে মানুষ,
তোমরা সৃষ্টির সেরা জীব;
তোমাদের তরে সমতল ভূমি দিয়ে
স্রষ্টাই পৃথিবীকে করেছেন আবাস যোগ্য।
দিয়েছেন তোমাদের বাক-বিবেকের পূর্ণ স্বাধীনতা;
জ্ঞান-গরিমা দিয়ে ঘটিয়েছেন মেধার বিকাশ।
গড়েছ নগর সভ্যতা উন্নত আবাসভূমি
হয়েছ প্রযুক্তি জ্ঞানের অধিকারী!


তুমি তোমার আবাস ভূমিকে মা ভেবে
পরম নিশ্চিন্তে তার বুকে ঘুমাও,
কেউ বা প্রিয়া ভেবে তারই
গর্ভে সোনা ফলাও।


আমি অরণ্য,
স্রষ্টা আমাকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরই মহা কল্যাণে,
সৃষ্টি করেছেন পরিবেশ সহায়ক বিচিত্র পশু পাখি;
ওরাও আমার সন্তানের মত ঘুমায় আমার বুকে
খুনসুটি করে, করে আহলাদ পরম আনন্দে।


আমারই অঙ্গে তোমার তরে তৈরী হয় শ্রেষ্ঠ পানীয়!
প্রয়োজনে বুক পেতে দেই ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসে;
আমারই নিঃশ্বাসে তোমার প্রশ্বাসের খোরাক
শীতল সমীরণে উষ্ণতার প্রশমন ঘটে,
কিন্তু তুমি বড় অকৃতজ্ঞও বটে!


স্রষ্টার মৌলিক সৃষ্টিকে বিভাজিত কর,
আবার সঙ্করীকরণ করে নতুন কিছুও গড়!
বেশি বুঝে বসুধার নির্মল পরিবেশ কর বিষাক্ত!
তোমরা বহুমতে বিশ্বাসী, সৃষ্টি কর শত্রু মিত্র,
স্বার্থ ভেদে উপাসনা কর বহু প্রভূর অস্তিত্ব!


আমি নির্বাক জ্ঞানহীন সৃষ্টি;
নীরবে নিঃশব্দে করি স্রষ্টার উপাসনা,
তিনিই আমার পরম প্রভূ আর নই কারও ভৃত্য।


তোমরা না বুঝেই
ভান কর বেশি বোঝার!
করতে চাও আমার অস্তিত্ব বিনাশ!
তোমাদের যজ্ঞে কিন্তু প্রভূর জাগে না আশ।
প্রকাশিত হয় তার তীব্র অসন্তোষ,
নেমে আসে মহা বিপর্যয়
যা করে সর্বনাশ!


অতএব, সময় থাকতে
সাবধান হও হে অবিশ্বাসী,
নইলে মনে রেখ নিয়তি তোমায়
করবেই পরিহাস! করবে নিন্দিত পরবাসী!



কবিবন্ধু ফয়েজউল্লাহ রবি’র অনুেরােধে লিখলাম এ কবিতাটি ।