ক্ষুধা যদি আবার, আগ্রাসী হয়ে উঠে শেষ বেলায়!
সময়টা সাক্ষী হয়ে রবে, বেশুমার লাশের খেলায়!
ক্ষুধার্ত-অসহায় মানে না কানুন, চিনে না মহাজন!
মরণের আগে হুঙ্কার দিয়ে, কেড়ে নিবে তোর ধন!
মুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও করে ওরা আর্তচিৎকার!
কেঁপে কেঁপে উঠে আর্তের কান্নায়, আরশ তোমার!
তবু ওরা পারে না একমুঠো খাদ্য করতে যোগাড়!
বাড়ে নিরন্নের ভিড়! পায় না আহার জোটে প্রহার!


নালিশে পায় না রায়! যেতে হয় নির্মম কারাগার!
হে প্রভু সাহায্য চাই তুলেছি হাত তোমার দরবার;
তুমি বিনে নেই আস্থার ঠিকানা, চাই তোমার দান,
নির্ঘুম রজনীতে করো না রাগ-করো না অভিমান!
জানি তোমার খাদ্যভান্ডারে নেই আহারের অভাব;
অভুক্তরে দাও অন্ন, বন্য হয়ে গেছে সবার স্বভাব!