চারটি পাখি বসত করে একটি সুখের নীড়ে
রঙিন কিছু স্বপ্ন ছিল তাদের জীবন ঘিরে,
অভাব ছিল, কষ্ট ছিল, কাঁপতো বাসর ঝড়ে!
শঙ্কা ছিল হারিয়ে যাবার, থাকতো না তাই দূরে।


টুকরো টুকরো গল্প যতো বলতো তারা ঘরে
চিল-শকুনে মারলে থাবা থাকতো জাপটে ধরে,
ঠোঁটের ফাঁকে আনতো খাবার দুইটি শিশুর তরে
মা জননী, বাবা তাদের পালতো আদর করে।


একটু খানি আড়াল হলেই পাগল করতো ডেকে
মনের ভুলে মন হারালে, চায় শুধু তার মাকে,
ভাইটি যতই আদর করে সান্ত্বনা দেয় তাকে
অশ্রু ঝরার ফাঁকে ফাঁকে উদাস হয়ে থাকে।


ভাইয়ের বুকে মুখটি গুঁজে গুমরে গুমরে কাঁদে,
বাবা যখন ফিরলো নীড়ে, জোছনা ছড়ায় চাঁদে!
বাবার ডানার তলায় এসে সাহসে বুক বাঁধে
মা কি তাদের পড়লো ধরা শিকারীদের ফাঁদে!


গভীর রাতে সময় গড়ায়, ঘুম আসে না চোখে
মাতম করে দুইটি শিশু, মা জননীর শোকে!
ভোর সকালে মা জননী ভা্ঙ্গা ডানায় হাঁকে,
কেমন করে আসবো বাছা, মারলো গুলি লোকে!