পাকিস্তানী সামরিক জান্তার অপারেশন সার্চলাইট
নামের গণহত্যার অভিযাত্রাই পূর্ব পাকিস্তানের
বাঙ্গালীদের জানিয়ে দিল, হয় আত্মসমর্পণ করে
গোলামীর জীন্দেগী বেছে নাও, নইলে লড়াই করে
স্বাধীনতা ছিনিয়ে নাও। জালিমদের চাপিয়ে দেয়া
যুদ্ধই নির্ধারণ করে দিল, বাঙ্গালীর করণীয় কি!


সেই প্রজন্মের যারা আজও বেঁচে আছেন, তারাই
শুধু জানেন, কি বিভৎস ছিল সেই হত্যাকান্ড!
মৃত্যুর বিভীষিকাই উদ্বুদ্ধ করে জাতিকে বেছে নিতে
আত্মত্যাগ বা বিসর্জনের পথ। যুদ্ধের ঘোষনা ছিল
হৃদয়ের আকুতিরই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। যা চেয়েছিল
অসহায় মানুষ নিজেদের অজান্তেই! কারণ, সেই
রক্তক্ষরণ আর লাশের পাহাড় দেখে কেউ পারে না
নির্বাক বসে থাকতে, যা ছিল তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে
পড়েছিল জীবনকে বাজি রেখে! যারা দেখেনি, শুধু
শুনেছে লোকমুখে অথবা পড়েছে ইতিহাসের পাতায়,
তাদের পক্ষে ধারণা করাও এতটাই কঠিন, যা নাকি
বোঝানোও অসম্ভব! সেদিন পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি
বাঙ্গালীই ছিল এক-একজন নেতা ও সৈনিক। এমন
সাহসিকতা আর দেশপ্রেমই শুধু পারে, চূড়ান্ত বিজয়
অর্জনে অগণিত বাধা পেরিয়ে মুক্তি ছিনিয়ে আনতে।