সেই পাপিষ্ঠ শয়তান, করেনি আত্মসমর্পন!
তোষামোদ চায় নতজানু সৃষ্টির কাছে,
দাসখত চায় আপনারে মহাজ্ঞানী ভেবে!
উগরে দেয় সঞ্চিত জ্ঞান মহাসমারোহে;
প্রকাশ করে জ্ঞানভান্ডার গর্ভজাত বলে!
দর্শনের কপচানী শুনে ভক্তরা গদগদ
মোহনীয় সুরে গড়ে আনন্দগীতি মহাউল্লাসে!
ফসলী জমিন করে অগাছার বীজতলা
তিক্ত মাকাল ফল জমায় অশালীন বন্দরে,
শৃঙ্খলিত উপাস্য তার দ্বীপান্তরের জলাশয়ে
প্রচন্ড বিদ্বেষে আপনাকে মেলে ধরে প্রজালয়ে!
খন্ডিত তত্ত্ব রচে আগামী প্রজন্মের তরে
যেখানে স্বপ্ন মোচড় খায় তপ্ত দেহের ভাঁজে,
শূন্য থেকে উড়ে এসে শূন্যে যেতে চায় ভেসে
সুরার পাত্রে বিলাসী ফানুস নাচে অহমিত রাজে!
সুখের ব্যাধীরা এসে আদুরে শরীরে মিশে;
অকালে অজস্র ফুল পচে যায় তারই বিষে,
তবুও সুখের স্বর্গ খোঁজে আঁধারী গলির শেষে,
মোহের ফাঁদে পড়ে করে আত্মবলিদান অন্ধবেশে!