বিরামহীন প্রয়াসেও দ্রোহের কবিতা আসে না!
কলম থেকে ঝরে পড়ে আবেগঘন অশ্রুবিন্দু!
হে খোদা! তুমি তো দয়াময়! তোমার অশ্রু কোথায়?
তোমার পাক কালাম এখন জিহাদী বই!
দশ মাসের মুহম্মদ তোয়াহাও এখন ভয়ঙ্কর জঙ্গী!
মুখ থুবরে পড়ে থাকে নাফ নদীর পাড়ে
গণতান্ত্রিক সভ্যতার সাথে যুদ্ধ করে করে পরাজিত হয়ে!


জীবন হরণকারী বারুদ আর আগ্নেয়াস্ত্র এ সভ্যতার শত্রু নয়!
শত্রু এখন আয়লান কুর্দি আর মুহম্মদ তোয়াহা!
যাদের মুখে এখনও ফোটেনি ভাষা!
তুমি তো সবই দেখো; তারপরও কি সাক্ষী চাও?
কে দেবে সাক্ষ্য! সবারই কুরসি চাই অনন্তকাল!
আমাকে সাক্ষী মেনো না; আমার নামের সাথেও যে
রহমান, ইসলাম আর মুহম্মদ আছে!
সুশীলরাও কিন্তু গণতান্ত্রিক ভদ্রলোক! ওরাও কিছু বলবে না,
কারণ ওরাও জাতিসঙ্ঘী সুসভ্যদের মত বাকরুদ্ধ!


তুমি তো সবই জানো; জঙ্গী উৎপাদন বন্ধ করতে
আগে জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি আমদানী-রফতানী হতো,
এখন জঙ্গী উৎপাদনের কৌশল আর নিধন যজ্ঞের
স্ক্রিপ্ট আমদানী-রফতানী পণ্যের তালিকায় হট্ কেক্!


তুমি কি জানো মহাসম্রাট! তোমার সার্বভৌমত্মকে
আজ-কাল স্বীকারই করে না প্রগতিশীল বসুন্ধরা!
ফেসবুকের পাতায় পাতায় আর ভার্চুয়াল ব্লগে
তোমার আর তোমার হাবিবের নামে কত মামলা!


বর্তমান কিন্তু নমরুদের তীর-ধনুকের বর্বর কাল নয়;
ডারউইন, মার্ক্স আর আব্রহাম লিংকনের আধুনিক সভ্যতা!
এখন নাইন ইলেভেন, ওয়ান ইলেভেনের ধুমাধুম জয়!
এখন বিনা বিচারেই এনকাউন্টার আর ক্রসফায়ার হয়!
অতএব...!