আমাদের কার হৃদয়মাঝে কোন ইরাদা বিরাজ করে,
না তুমি জানো, না জানি আমি, জানেন আমাদের
অন্তরের মহান স্রষ্টা, যিনি রক্ষা করেন সৃষ্টির ভারসাম্য।
যিনি দান করেন জ্ঞান-শিক্ষা-সভ্যতা, উত্তম আচার।
বিনিময়ে চান না অন্য কিছু, ব্যতীত শুধু আনুগত্য।


অথচ, আমরা অহমিত হই বিদ্যাপিঠের উচ্চতায়,
অহমিত হই লব্ধ জ্ঞানের গভীরতায়! যা পারে না
আমাদের অস্তিত্বকে রক্ষা করতে-ধ্বংস থেকে!
আমাদের উচ্চশিক্ষা, লব্ধ জ্ঞান পারে না আমাদের
নিঃশ্বাসকে চিরস্থায়ী করতে, পারে না দেহকে করতে
অবিনশ্বর! আমরা কি পারি আলো-বাতাস-তাপ
আর পানি ব্যতীত একটি শস্যকণা সৃষ্টি করতে!
আমরা কি পারি, সৃষ্টির উপকরণ সৃষ্টি করতে?


কেউ কি পেরেছে বংশ পরম্পরায় স্বীয় প্রতাপকে
অনন্তকাল ধরে রাখতে আপন মহিমায় জমিনে?
যখনই মানুষ ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে জুলুম
করেছে মজলুমকে, চিহ্নিত হয়েছে জালিম বলে!
কেউ পারেনি নিজেকে রক্ষা করতে পরিণতি থেকে!
কেন সে পারে না নিজেকে রক্ষা করতে এই
অনিবার্যতা থেকে? কোথায় নিহিত তার দুর্বলতা?
এখানেই মানুষ পরাজিত স্রষ্টার শক্তির কাছে,
কারণ, স্রষ্টা চান, সৃষ্টি স্বীকার করুক বিনাবাক্যে
তাঁর পরাক্রমকে, যখন কেউই মানবে না তাঁর বিধান!
ধ্বংস করবেন সেদিন সমস্ত সৃষ্টির অস্তিত্বকে।


আমাদের খেলা সেখানেই শেষ, যেখানে থেমে যাবে
স্রষ্টার ইচ্ছার ধারাবাহিকতা! সেখানেই প্রমাণিত হবে
জনসাধারণের সার্বভৌমত্বের দাবীর অসাড়তা।
আমাদের খেলা ততদিনই স্থাযী হবে, যতদিন
চাইবেন তিনি সৃষ্টির ঈমানকে পরীক্ষা করতে।
অতঃপর শুরু হবে তাঁর সার্বভৌমত্বের কঠিন খেলা,
যখন থেকে আমরা শুধুই আফসোস করতে থাকবো!
আর তাঁর অনুগতরা পেতে থাকবে প্রতিদান অনন্তকাল!