গ্রহ-উপগ্রহ বেষ্টিত নক্ষত্র
ছিল প্রভায়-উত্তাপে অত্যুজ্জল!
পার্শ্ব নক্ষত্রের মাঝে জমলো ঈর্ষা!
আপন বলয়ের মাঝে হয়ে যায় সংক্রমণ!
তারা আরও ঢের প্রভাব, উত্তাপ বাড়াতে চায়,
চায় আরও বেশী প্রভার বিচ্ছুরণ-বিকিরণ ছড়াতে!


আপন বলয়ে সৃষ্টি হয়
অসহিষ্ণুতা, কক্ষপথ হতে থাকে
অনিরাপদ! বাড়তে থাকে বিশৃঙ্খলা!
কক্ষপথে সৃষ্টি হয় অপূরণীয় চরম শূন্যতা!
পার্শ্ব নক্ষত্র চালান করে অনুগত ধুমকেতু-উল্কা।


এমনই কোন এক রজনীতে
ধুমকেতু আঘাত হানে উল্কার বেগে,
চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় স্বপ্নময় সোনালী প্রভাত!
থমকে যায় বিস্ফোরিত নক্ষত্র বলয়ের তরঙ্গমালা।
আচমকা আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যায় প্রতারিত গ্রহকুল!


বিচূর্ণ নক্ষত্র হারায়
মৌলিকত্ব! অভীপ্সা হারিয়ে;
অভিষেকের আনন্দ ছড়ায় বলয়ে;
কক্ষচ্যুত গ্রহকুল হারায় মৌলিক চরিত্র!
বিস্ফোরিত নক্ষত্রের নিঃশেষের অবশেষ থেকে
উঠতে থাকে ধুমায়িত বুদবুদ সব কিছুর অলক্ষ্যে!


অস্তিত্ব জাহির করে
নক্ষত্রের খন্ড-বিখন্ড অনুদেহ!
বিকলাঙ্গ নক্ষত্রের উদ্ভব ঘটে বলয়ে!
গ্রহাণুপুঞ্জে প্রকাশিত হয় অস্থিরতা, ব্যাকুলতা!
বলয়ে ক্লান্তি আসে, প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে নীতি-শৃঙ্খলা!


শুরু হয় নিষ্ঠুর সংঘাত!
উপর্যুপরি পালা বদলের খেলায়
হতাশা ছড়িয়ে পরে গ্রহ-উপগ্রহ জুড়ে!
প্রবৃত্ত হয় অস্তিত্ব রক্ষায় শক্তি সঞ্চয় করে!
অশনি সংকেত ভরিয়ে দেয় শূন্যতা প্ররোচনা এসে!


বিষুদ্ধ বলে কিছু নেই!
নিয়মের নীতি গেল নির্বাসনে!
সৃষ্টি হলো অসংখ্য ‘ব্ল্যাকহোল’ অগোচরে!
হারিয়ে যেতে থাকে গ্রহ-উপগ্রহ, ধুমকেতু, উল্কা!
আশঙ্কা ছড়িয়ে পরে, হয়তো সৌরঝড় শুরু হবে অচিরে!