মুখ আমার  লাবণ্য লেশ হীন,
কিন্তু আমার মনে আছে ভরা বসন্তের
শিমুল,পলাশ,কৃষ্ণচূড়া ও হোলীর
সব রঙ্গের সমারোহ.........
কেউ দেখে না তা,
হায়! কেউ দেখে না আমার সে রং।
আমি অ্যাসিড দগ্ধ এক যুবতী নারী,
আমি লক্ষ্মী।
সারা দেহ আমার অ্যাসিডে পুড়ে
দিয়েছে সেই বর্বর যুবক মাত্র আমার
পনেরো বয়সী কিশোরী কালে।
আমার দোষ, আমি সেই বর্বরের
অদম্য লালসা অস্বীকার করেছিলাম।
ছুড়ে মেরেছে অ্যাসিড আমার কচি
দেহের উপরে,আমার পেটে কয়েক
ঘা লাথি মেরে ফুটপাতে ফেলে পালায়।
অ্যাসিডের দহনে সারা শরীর পুড়ে যাচ্ছে।
আকাশ, বাতাস, মাটি কাঁপিয়ে
আমি চিৎকার করছি মা,মা,মা...
তারপর সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলি।
চোখ খুলে দেখি
আমি হসপিটালের বেডে।
প্রাণে বেঁচে গেছি এযাত্রায়।  
আয়নাতে, নিজেকে দেখে আমি
আঁতকে উঠি....
চিৎকার করে কেঁদে উঠি,
আমার রূপ,আমার যৌবন, আমার জীবন
শেষ করে দিলো, হায়! শেষ করে দিলো...
তবুও আমি বেঁচে আছি,
আমি মানুষ।
আমি নারী।
আমি অ্যাসিডে দগ্ধ এক সংগ্রামী নারী।
আমি লক্ষ্মী....



রচনাকাল :-
০৯-০৩-২০১৮ ইং
২৪ ফাল্গুন,  ১৪২৪ বাংলা।
ধর্মনগর;উত্তর ত্রিপুরা।
ভারত।